জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্পের (ইউএনডিপি) যুব শুভেচ্ছাদূত হলেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বৃহস্পতিবার বিকেলে হোটেল লা মেরিডিয়ানে ইউএনডিপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এদিন মাশরাফির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেন ইউএনডিপি'র বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস।
জাতিসংঘের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রঙ্গীন পোশাকের অধিনায়ক মাশরাফি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছেন। খেলোয়াড়ি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও করা হয়েছে অনেক যাচাই-বাছাই। দেখা হয়েছে দেশের সর্বসাধারণের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা ও রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা। এই সময়ে মাশরাফির সঙ্গেও কয়েক দফা আলোচনা করেছে জাতিসংঘের প্রতিনিধি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি চূড়ান্ত করলো ইউএনডিপি।
এ প্রসঙ্গে ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ক রবার্ট ওয়াটকিনস বলেন, ''ইউএনডিপি এবারই বাংলাদেশ থেকে কোনো শুভেচ্ছাদূত নিয়োগ দিলো। মাশরাফির আগে তিনজন ক্রিকেটার ছিল, শচীন টেন্ডুলকার, শহিদ আফ্রিদি ও মুত্তিয়া মুরালিধরন। তারা সবাই জাতীয় পর্যায়ে ইউএনডিপির দূত ছিল। মারিয়া শারাপোভা আমাদের বৈশ্বিক দূত। মাশরাফিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে জাতীয় দূত হিসেবে। মাশরাফি মূলত তরুণদের জানাবেন কিভাবে ভালো কর্মসংস্থান পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেই আমরা এটা করতে চাই। কারণ তথ্য প্রযুক্তি এমন একটা খাত, যেখানে তরুণরাই শাসন করছে।''
ইউএনডিপির জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তরুণদের কর্মসংস্থানে উৎসাহিত করবেন মাশরাফি। কর্মসংস্থান হবে তথ্য-প্রযুক্তির স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে। টেকনোলজির ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করার জন্য ২৫ হাজার কিশোর-কিশোরীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়।
এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ''তরুণরাই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই উদ্যোগটা যদি তরুণদের কাজে লাগে, তবে আমি মনে করি দেশটা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। আমি চাই বেশিরভাগ তরুণদের যাতে এই উদ্যোগটা কাজে লাগে। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।''
বিডি-প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ