ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে দেশে ফিরে দুটি গাড়ি কিনবেন সাতক্ষীরার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। একটি মাইক্রোবাস কিনবেন পরিবারের জন্য। আর নিজের জন্য কিনবেন একটি মোটরসাইকেল।
শনিবার ভারতের মিড-ডে নামের একটি নিউজ পোর্টালের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইতিমধ্যে সীমিত ওভারের ম্যাচে বিশ্বসেরা পেসারের তকমা পেয়েছেন মুস্তাফিজ। সময়ের অন্যতম সেরা পেসার মোহাম্মদ আমিরের চেয়ে বিধ্বংসী বলেও মনে করেন অনেকে। প্রথমবারের মতো আইপিএলে খেলতে গিয়ে ইতিমধ্যে নিজের জাত চিনিয়েছে। প্রথম ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা দুই ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স ও শেন ওয়াটসনকে ফিরিয়েছিলেন। দ্বিতীয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিসের বিশ্বকাপ কাঁপানো ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেলকে বোল্ড করে মাটিয়ে শুঁইয়ে দিয়েছেন। দু্টি ম্যাচের কৃপণ বোলারও ছিলেন তিনি।
ক্রিকেটার হয়ে স্মৃতি সম্পর্কে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ছোটোবেলায় আমাদের অবস্থা অতটা খারাপ ছিল না। কিন্তু সাফল্য পেতে সহজ কোনো পথ খোলা থাকে না। তাই আমিও আমার জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছি। কিন্তু আমার পরিবার খুঁটির মতো সব সময় আমার পাশে ছিল। তাদের দোয়া, সমর্থন আর বিশ্বাসের জোরেই আজকে আমি এত কিছু হতে পেরেছি।’
‘আইপিএলে খেলতে এসে সতীর্থদের কাছ থেকে দারুণ সহযোগিতা পাচ্ছি। সবাই জানে বাংলা ছাড়া অন্য ভাষায় আমি দক্ষ নই। আমি অন্য ভাষাগুলো থেকে প্রচুর শব্দ শিখতে চেষ্টা করছি।’
জাতীয় দলে ঢোকার আগের কথা বলতে যেয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘এমন কোনো সমস্যা আমি ফেস করিনি, যা আমাকে খেলা থেকে দূরে রাখতে পারে। কিন্তু এলাকায় উন্নত মানের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেত না। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এবং সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু করছে। আমি যখন বেড়ে উঠেছি, তখন ট্রেনিং একাডেমি খুব একটা ছিল না। আমি কোনো নির্দিষ্ট একাডেমির সৃষ্টি নই। জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেছি। নিজেকে ফিট রাখতে মাঠেই দৌড়তাম।’
জাতীয় দলে খেলতে এসে পাওয়া প্রথম পুরস্কারের টাকা দিয়ে কী করেছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ ছিল টি-টোয়েন্টি। বাড়িতে সবাইকে নিয়ে একটা গেট-টুগেদার করেছিলাম। আইপিএলের পর বাড়ি ফিরে নিজের জন্য একটি মোটর সাইকেল আর পরিবারের জন্য একটি মাইক্রোবাস কিনবো।’
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব