লর্ডস টেস্টে সেই আলোচিত স্পট ফিক্সিং কেলেংকারির পর ইতিমধ্যে দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ আমির। শুধু ফিরেছেন বললে ভুল হবে, রীতিমত পাকিস্তান দলের বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই পেসার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার জাতীয় দলে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক সালমান বাটকে। সম্প্রতি পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ উল হকই তাকে দলে নেওয়া ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
আসন্ন ইংল্যান্ড সফরেই তাকে দলে চাইছেন মিসবাহ। বাট প্রসঙ্গে মিসবাহ বলেন, ‘আমাদের তিন থেকে সাত নম্বর পর্যন্ত ব্যটিং-অর্ডারে নির্ভরতা এলেও ওপেনিংয়ে সমস্য রয়েই গেছে। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে শান মাসুদ ও বাটকে দিয়ে চেষ্টা করা যেতে পারে। যদিও ২০১০ এ দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর আমি বাটের খেলা দেখিনি। কিন্তু সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে সে চমৎকার করেছে। ও বেশ অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। কিভাবে ফেরানো যায়, আমাদের সেটি ভাবতে হবে।’
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বাটের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর চলতি বছর পাকিস্তান ন্যাশনাল ওয়ানডে কাপে ১০৭.২০ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তার দল ওয়াটার এ্যান্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির হয়ে সাত ইনিংসে বাটের স্কোর যথাক্রমে ১৩৫, ৯৯*, ৬, ৩০, ৮১*, ৯৫ ও ৯০! এরপরই তার ওপর নজর পড়ে মিসবাহর।
তবে ইংল্যান্ড সিরিজেই তাকে দলে পাওয়াটা আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে। কেননা আগামী ১০ বছর সালমান বাটকে ইংল্যান্ডের ভিসা দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে অভিবাসন ও প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। স্পট ফিক্সংয়ের জন্য বাটকে জেলও খাটতে হয়। আর জেল খাটা কোন ভিনদেশীর ইংল্যান্ডে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক জটিলতা। যদিও নিউজিল্যান্ড সফরে আমিররের প্রত্যাবর্তনের সময়েও একই রকম সমস্যা তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠেছিল তারা।
বিডি-প্রতিদিন/২০ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব