বরিশাল বুলসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে মাহমুদউল্লাহর দল। ৮ ম্যাচে ছয় জয় পাওয়া খুলনার পয়েন্ট ১২। টানা চার ম্যাচে হারা পাওয়া বরিশাল ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে ছয় নম্বরে।
বরিশালের হয়ে নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম ও শাহরিয়ার নাফীস। শেষের দিকে ঝড় তুলতে পারেননি থিসারা পেরেরা, এনামুল হক। তাই ৫ উইকেটে ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল।
ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন বরিশালের বোলাররা। শুভাগত-মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তাভরা ব্যাটিংয়ে পেরে উঠেননি তারা। ১৮ ওভার ৪ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা।
লক্ষ্য তাড়া করতে যেয়ে ১৬ রানের মধ্যে হাসানুজ্জামান ও রিকি ওয়েসেলসকে হারায় খুলনা। কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় চাপটা ধরে রাখতে পারেনি বরিশাল। ২১ রান করে তাইবুর রহমান ফিরে যাওয়ার সময় খুলনার সংগ্রহ ৪৯/৩।
সেখান থেকে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান শুভাগত-মাহমুদউল্লাহ। দুই জনে গড়েন ৫৭ রানের চমৎকার এক জুটি। রুম্মান রাইসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪০ রান করেন দলে ফেরা শুভাগত। বাকিটুকু নিকোলাস পুরানকে নিয়ে সহজেই সারেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন খুলনার অধিনায়ক।
দারুণ বল করা রাইস ১৩ রানে নেন ২ উইকেট। শুরুতেই সাফল্য এনে দেওয়া বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ১৪ রানে নেন ১ উইকেট। কিন্তু অন্য বোলাররা খুব একটা সাহায্য করতে পারেননি এই দুই জনকে।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবারের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ২৪ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
এরপর ৪২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন শাহরিয়ার ও মুশফিক। বিপজ্জনক হয়ে উঠা তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। মোশাররফ হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার ২৩ রান করেন শাহরিয়ার।
পেরেরার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন মুশফিক। অধিনায়ক ২৬ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পেরেরা ১৯ বলে অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। শেষ ওভারে শফিউল ইসলামের বলে একটি করে ছক্কা-চার হাঁকানো এনামুল অপরাজিত ২০ রানে।
৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন পেসার জুনায়েদ। বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ ১৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল বুলস: ২০ ওভারে ১১৯/৫ (মেন্ডিস ১৪, মালান ৭, শাহরিয়ার ২৩, মুশফিক ৩১, নাদিফ ১, পেরেরা ১৭*, এনামুল ২০*; মাহমুদউল্লাহ ০/২৮, জুনায়েদ ০/১২, শফিউল ১/৩১, কুপার ০/৩০, মোশাররফ ১/১৬)
খুলনা টাইটানস: ১৮.৪ ওভারে ১২০/৪ (তাইবুর ২১, হাসানুজ্জামান ৪, ওয়েসেলস ৫, শুভাগত ৪০, মাহমুদউল্লাহ ৩৬*, পুরান ৮*; তাইজুল ১/১৪, রাইস ২/১৩, মনির ০/২৯, রাব্বি ০/২১, পেরেরা ০/৩১, মেন্ডিস ০/৮)
বিডি-প্রতিদিন/২৫ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১৯