দু-তিন দিন আগেই ছড়িয়েছে খবরটা। ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি-তে জুভেন্তাসে যোগ দিচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। খবরটাকে আরও প্রতিষ্ঠা করেছে দু-একটা তথ্য। গত বছর বেতন বাড়েনি রোনালদোর। মেসির থেকে কম টাকা পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ।
চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ হওয়ার পরই শোনা যাচ্ছিল ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডে ফিরে যেতে পারেন তিনি। কিংবা যেতে পারেন পিএসজি-তে। কিন্তু জুভেন্টাসে যাওয়ার খবরটা নতুন। আরও যেটা ছড়িয়েছে, তা হল- জুভেন্টাসের শর্তাবলী পছন্দ হয়েছে সিআর সেভেনের। সই হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।
খবর ছড়ানোর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জুভেন্টাস। যেখানে এর আগে (১৯৯০ সাল থেকে নির্দিষ্ট জার্সির নিয়ম শুরু হওয়ার পর) সেই ক্লাবের যে ছয়জন ফুটবলার সাত নম্বর জার্সি পরেছেন, তাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ফাঁকা রাখা হয় সাত নম্বর জায়গাটি। তারপর অবশ্যটি ভিডিওটি মুছে দেওয়া হয়। এ সবের মধ্যেই হুহু করে বাড়তে থাকে জুভেন্টাসের শেয়ারের দর।
এতদিনে অবশ্য রিয়াল বা জুভেন্টাস কোনো পক্ষ থেকেই কোনো সরকারি বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিন মুখ খুললেন, রিয়ালে রোনালদোর গত ছয় মৌসুমের সতীর্থ লুকা মদ্রিচ। ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক এদিন বলেছেন, দেখা যাক কী হয়। আমার মনে হয় না ও যাবে, আমি চাই ও থাকুক কারণ ওই বিশ্বের সেরা ফুটবলার।
'আমার মনে হয় ও থাকবে-এটা আমার মতামত। ও থাকলে খুবই ভালো হয় কারণ অন্য কোনো ইউরোপিয়ান ক্লাবে রোনালদোকে আমি কল্পনাও করতে পারি না।
রিয়ালের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রামোন ক্যালদেরন বলেছেন, রোনালদো যদি রিয়াল ছাড়ে তাহলে এমন একটা শূন্যস্থান তৈরি হবে, যা পূরণ করা সম্ভব নয়। কারণ এমন একজন চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারকে সহজে পাওয়া যায় না যে দলের খেলার সঙ্গে মিশে থআকে এবং নয় মৌসুম ধরে প্রতি বছর পঞ্চাশটিরও বেশি গোল করে চলে।
বিডি প্রতিদিন/০৯ জুলাই ২০১৮/আরাফাত