ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) নিজেদের শেষ ম্যাচে বার্বাডোজ ট্রিডেন্টসের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে গেইলের নেতৃত্বাধীন সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস। আগের ম্যাচের মতো এদিনও শুরুটা ভালোই করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে, শেষটা ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ পুড়াবো বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে। তারপরও টানা জয়ে ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে সেন্ট কিটস।
এদিন, টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেন গেইল। ধীরগতিতে শুরু করা বার্বাডোজ ট্রিডেন্টসের উইকেট পেতে তাই একটু দেরি করতে হয়েছিল সেন্ট কিটসের। ৭ম ওভারের প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন প্রোটিয়া পেসার টাবরাইজ শামসি। ২৫ বলে ২৬ রান করা ওপেনার ডোয়াইন স্মিথকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান তিনি।
পরের ওভারে অধিনায়ক গেইল বল তুলে দেন মাহমুদুল্লাহ হাতে। অপর ওপেনার ভারতের সানি সোহালকে ওভারের ৫ম বলে সাজঘরে পাঠিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। এই ওভারে ৫ রান দিয়ে ওই একটি উইকেট তুলে নেন তিনি। পরের ওভারে ১১টি রান দেন মাহমুদুল্লাহ। তবে সেই ওভারেই রান নিতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। ১৩তম ওভারের আবারও মাহমুদুল্লাহর হাতে বল তুলে গেইল। এবার তার বল থেকে মাত্র ৩ রান নিয়ে সক্ষম হয় দুই ক্যারিবীয়ান তারকা রোস্টন চেজ ও পুরান। অথাৎ তিন ওভার শেষে ১৯ রানে এক উইকেট। তবে শেষ ওভারে ১৬ রান দিয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ।
ব্যাটিংয়েও ঠিক একই অবস্থা। গত ম্যাচে ১১ বলে ২৮ রানে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার পর এদিন আরও একটু ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয় মাহমুদুল্লাহর। চারে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। ৭ বলে ৯ রান তুলে ফেলেন, যার মধ্যে একটা ছক্কার মারও ছিল। কিন্তু তার ব্যাটিংয়ে নামার পর দলের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মধ্যে চলে গেলে একটু খোলসে ঢুকে পড়েন মাহমুদুল্লাহ। সেখান থেকে কাটিয়ে উঠতে বিগ শট খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগে দৌঁড়ে গিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করেন হাশিম আমলা। ফলে ১৯ বলে ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। যদিও এক সময় ১৫ বলেই ১৫ রান ছিল তার।
বিডি-প্রতিদিন/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮/মাহবুব