বাউন্ডারি টপকানো তো দূরের কথা, বল পড়লো ত্রিশ গজের বৃত্তের সামান্য দূরে। তবু ছক্কার সিদ্ধান্ত দিলেন আম্পায়ার। এমনই আজব ঘটনার সাক্ষী থাকল বিগ ব্যাশ।
শুরু থেকেই চলতি বিগ ব্যাশ লিগ অদ্ভূত সব মুহূর্ত উপহার দিয়ে চলেছে। কয়েনের বদলে ব্যাট ছুঁড়ে টস না হয় পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। তবে তৃতীয় আম্পায়ার রান আউট দেওয়ার পর প্রতিপক্ষ দল তাদের আবেদন ফিরিয়ে নিচ্ছে, মাঠের মধ্যে বল থাকা সত্ত্বেও ব্যাটসম্যানের খাতায় ৬ রান যোগ হচ্ছে, এমন সব ঘটনা এবারের বিগ ব্যাশ লিগকে ক্রিকেটবিশ্বের আলোচনার কেন্দ্রে এনে ফেলেছে।
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই ব্রিসবেন হিটের জেমস প্যাটিনসনকে থার্ড আম্পায়ার রানআউট দিলে বিপক্ষ অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারস তাদের আবেদন ফিরিয়ে নেয়। জায়ান্ট স্ক্রিনে স্পষ্ট দেখা যায় প্যাটিনসন নিরাপদে ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তৃতীয় আম্পায়ার আউট ঘোষণা করায় সবাই অবাক হয়ে যায়। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার আগে প্যাটিনসনকে ফিরিয়ে এনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন অ্যাডিলেড অধিনায়ক কলিন ইনগ্রাম।
দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেল অন্য এক বিড়াম্বনা। যদিও এক্ষেত্রে তেমন জটিলতা সৃষ্টি হয়নি। মেলবোর্নের মারভেল স্টেডিয়ামে পার্থ স্করচার্সের অ্যাস্টন টার্নারের শট মাঠ না পার না হলেও তিনি ছয় রান পেয়ে যান। মেলবোর্ন রেনেগেডসের ড্যান ক্রিশ্চিয়ানের বল টার্নারের ব্যাটের উপরের দিকে লেগে উপরে ওঠে। নিচে অপেক্ষামান ফিল্ডার ক্যাচের আশায় হাত পেতে থাকলেও স্টেডিয়ামের ছাদে লেগে বল তড়িৎ গতিতে ত্রিশ গজের বৃত্তের ঠিক বাইরে এসে আছড়ে পড়ে।
ছাদে ঢাকা স্টেডিয়ামে খেলা বলে বিতর্ক এড়াতে আম্পায়াররা ছয় রানের সংকেত দেন। বিপক্ষ দল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ হলেও কোনো প্রতিবাদ না করে মেনে নেয়। ম্যাচে ব্রিসবেন ১৯.৪ ওভারে ১৪৬ রান তুলে অলআউট হয়ে যায়। মেলবোর্ন ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৭ রান তুলে নেয়।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত