ভারত মুখ ফিরিয়ে থাকায় দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা সংক্ষেপে ডিআরএস। রিভিউয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তির সবক’টি যে নির্ভুল নয়, মূলত তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল ভারতীয় বোর্ড। পরে অবশ্য বিসিসিআই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ডিআরএস ব্যবহারে সম্মত হয়। তবে বিতর্ক থেকেই যায় রিভিউ সিস্টেমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে।
প্রায়ই প্রযুক্তির ব্যবহারে নেওয়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় ক্রিকেটারদে। ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-২০ সিরিজেও ডিআরএস নিয়ে মাঠেই হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবার ফিরে এলো ডিআরএস বিতর্ক। এবার ডিআরএস কাঠগড়ায় উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা টেস্ট ম্যাচে।
যদিও এক্ষেত্রে ডিআরএসে ব্যবহৃত প্রযুক্তি নয়, বরং ডিআরএস নিয়ে আইসিসি’র নিয়মবিধিকেই বিভ্রান্তির জন্য দায়ি করা যায়। অবশ্য ফিল্ড আম্পায়ার তালিম দারকেও দায়ি হিসাবে চিহ্নিত করা হলে ভুল করা হবে না মোটেও। কারণ, আইসিসি’র নিয়ম তিনিই সঠিক ভাবে পালন করেননি৷
কিংসমিডে টেস্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। ডিন এলগারকে শূন্য রানে আউট করার এক বল পরেই বিশ্ব ফর্নান্ডোর ডেলিভারি গিয়ে লাগে সদ্য ক্রিজে আসা হাসিম আমলার প্যাডে। এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন আম্পায়ার দার। নিজেদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক করুণারত্নে রিভিউ চাইলে তা নাকচ করে দেন আম্পায়ার। কারণ হিসাবে জানানো হয় শ্রীলঙ্কা রিভিউ চাইতে দেরি করে ফেলেছে।
আইসিসি’র নিয়ম অনুযায়ী বল ডেড হওয়ার ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে রিভিউয়ের আবেদন করতে হয় ক্যাপ্টেন বা সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে। যদি আম্পায়ারদের মনে হয় ১৫ সেকেন্ড অতিক্রম হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেত্রে আম্পায়াররা আবেদন নাকচ করতে পারেন। আলিম দার সেই মতোই শ্রীলঙ্কার আবেদনে সাড়া দেননি, যদিও সম্প্রচারকারী সংস্থার হিসাব আনুযায়ী মোটে ১৩ সেকেন্ড সময় নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
আইসিসি’র নিয়মে আরও বলা রয়েছে যে, ১০ সেকেন্ড পর আম্পায়ার সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার বা অধিনায়ককে সময়সীমার কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা যায়, তেমন কোনও প্রচেষ্টা করেননি দার। রিভিউ নিলে আমলা তখনই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতেন, তা না হওয়ায় জীবন দান পেয়ে যান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর