গেল বছরের অক্টোবরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুইবাতে ত্রাভিস হেডের অভিষেক হয়েছিল। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় চার মাস। ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যানবেরায় তুলে নেন মেইডেন সেঞ্চুরি। সেবার করেছিলেন ১৬১ রান। এরপর কেটে গেছে ৩২৮ দিন। কিন্তু সেঞ্চুরি পাননি তিনি।
অবশেষে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিংডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এসে পেলেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা। ২৫ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন শেষ করেছিলেন হেড। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে প্রথম সেশনেই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে যান চা বিরতিতে। সেখান থেকে ফিরে টিম সাউদেকি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার হাঁকিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান। ২২২ বল খেলে ১০ চারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
অবশ্য ইনিংসটিকে বেশি বড় করতে পারেননি। ২৩৪ বল খেলে ১২ চারে ১১৪ রান করে নেইল ওয়াগনারের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন। তিনি আউট হওয়ার পর ৪৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে ১৯৮৪ সালের পর দ্বিতীয় কোনো সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখালেন হেড। ৩৫ বছর আগে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু হিলডিচ এমসিজিতে করেছিলেন সেঞ্চুরি।
এই সেঞ্চুরির জন্য হেড ধন্যবাদ দিতে পারেন এমসিজি’র কিউরেটর ম্যাথিউ পেইজকে। তিনি যদি এমন উইকেটে না বানাতেন তাহলে হয়তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বক্সিংডে টেস্টের একাদশে জায়গা হত না ত্রাভিস হেডের। কারণ, কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার পাঁচজন বোলার রাখতে চেয়েছিলেন একাদশে। সেক্ষেত্রে হেডের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেতেন অনঅভিষিক্ত পেসার মাইকেল নেসার।
শেষ পর্যন্ত উইকেটের কারণে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন ল্যাঙ্গার। একাদশে রাখেন হেডকে। সুযোগ পেয়ে সেটাকে কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন হেড।
বিডি প্রতিদিন/কালাম