লুঙ্গি এনগিডির দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে ১ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে কুইন্টন ডি ককের দল। ১৭৭ রান তাড়ায় ৯ উইকেটে ১৭৬ রানে থেমেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল।
বুধবার ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫ বলে ৩১ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে স্বাগতিকদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া ডি কককে থামিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন মইন। টেম্বা বাভুমা ও রাসি ফন ডার ডাসেনের ব্যাটে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ ওভারে ছাড়ায় একশ। এরপরই ছন্দপতন। ৩১ রান করা ফন ডার ডাসেনকে ফিরিয়ে ৬৩ রানের জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষের দিকে ৭ রানের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় চার উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড; তৃতীয় ওভারে আঘাত হানেন স্টেইন। জস বাটলারকে ফিরিয়ে ছাড়িয়ে যান তাহিরকে। ৬২ উইকেট নিয়ে ওঠেন টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট শিকারীদের তালিকার শীর্ষে।
আরেক ওপেনার জেসন রয় শুরু থেকে চড়াও হন বোলারদের ওপর। দ্রুত এগোতে থাকে ইংল্যান্ড। জনি বেয়ারস্টোকে থামিয়ে ৭২ রানের জুটি ভাঙেন ফেলুকওয়ায়ো। অধিনায়ক মর্গ্যানের সঙ্গে রয়ের ৪১ রানের জুটিতে ২ উইকেটে ১৩২ রানের দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। ৩৮ বলে তিন ছক্কা ও সাত চারে ৭০ রান করা রয়কে থামিয়ে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন বিউরান হেনড্রিকস।
জো ডেনলি, স্টোকস, কারানের দ্রুত বিদায়ে শঙ্কায় পড়ে যায় ইংল্য্যান্ড। আশা হয়ে টিকে থাকা মর্গ্যান-ঝড় থামান হেনড্রিকস। ইংলিশ অধিনায়ক ৩৪ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ফিরেন ৫২ রান করে।
তবুও জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। কেননা জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৭ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। প্রথম ৩ বলে চার রান দিয়ে টম কারানের উইকেট তুলে নেন এনগিডি। শেষ ২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান, টাই করতে ২। সেই দুই বলে ১ রান তুলতে মইন আলি ও আদিল রশিদের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এই ওভারের জন্য ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কার পান লুঙ্গি এনগিডি।
আগামী শুক্রবার ডারবানে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম