জাপানোর টোকিও অলিম্পিক থেকে প্রথমে ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ থাকায় নাম সরিয়ে নিয়েছেন আলজেরিয়ান জুডোকা ফেথি নুরিন। এরপর ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ থাকায় আরেক জুডোকা সুদানের মোহাম্মদ আবদুল রাসুলও একই পথে হাঁটেন। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের নিপীড়নের প্রতিবাদে তাদের এমন সিদ্ধান্ত প্রশংসীত হয়েছে।
তবে উল্টো পথে হাঁটেন সৌদি আরবের জুডো খেলোয়ার তাহানি আলকাহতানি। তিনি টোকিওতে চলমান অলিম্পিকের তার ইসরাইলি প্রতিপক্ষের সাথে লড়তে রাজি হন। তবে ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যাওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা ৩০ জুলাই তারিখে টোকিওতে ৭৮ কিলোগ্রাম ঊর্ধ্ব নারী প্রতিযোগীদের জুডো প্রতিযোগিতায় ইসরাইলি জুডেকা রাজ হেরশকোর সাথে লড়াইয়ে রাজি হওয়ার জন্য তাহানি আলকাহতানির সমালোচনা করছেন। খেলায় সম্পূর্ণ ০-১১ ব্যবধানে হেরে যান আলকাহতানি।
তাদেরই একজন সৌদি আরবের জুডোকা তাহানি আল-কাহতানি। নারীদের ৭৮ কেজি ইভেন্টে শেষ ৩২-এর লড়াইয়ে ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ পেয়েও নাম প্রত্যাহার করেননি তিনি। অলিম্পিক থেকে ইসরায়েলের রাজ হেরশকোকে বিদায় করে দেওয়ার প্রত্যয় দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। হেরে গেছেন এ সৌদি নারী। একটি ওয়াজি-আর ও একটি ইপ্পন পেয়ে ২১ বছর বয়সী আল-কাহতানিকে হারান হেরশকো।
খেলার সময় হিজাব ব্যবহার না করায় এবং ইসরাইলি খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে জুডো খেলায় কোনো পয়েন্ট অর্জন করতে না পারায় সৌদি আরবের জুডো খেলোয়াড় তাহানি আলকাহতানির তীব্র সমালোচনা দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সমালোচকদের দাবি, তাহানি আলকাহতানি অপমানিত ও অসম্মানিত হয়েছেন। ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার এ খেলায় তিনি প্রচণ্ড খারাপ ফল করেছেন। তাহানি আলকাহতানির কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বর্তমান সৌদি আরবের চিত্র ফুটে উঠেছে। এক সময় সৌদি আরব নামের দেশটি ইসলাম ও তার মূলনীতি পালনের প্রতীক হিসেবে অনেকের কাছেই বিবেচিত ছিল। তবে এখন ইসরায়েলকে খুশি করার জন্য কাজ করে সৌদি আরব।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক