অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অতি কষ্টে হারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু পঞ্চম টেস্টে আশা জাগিয়েও ব্যর্থ। অজি বোলারদের সামনে রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করলো জো রুটরা। পঞ্চম টেস্টে কাঙ্ক্ষিত জয় পকেটে পুরে ৪-০ ব্যবধানে অ্যাশেজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
দুর্দান্ত বোলিং করে মার্ক উড ৬টি উইকেট তুলে নিয়ে অজিবাহিনীর দ্বিতীয় ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে দিয়েছিলেন। মাত্র ১৫৫ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। তাই সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্টে নতুন করে জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিল ইংল্যান্ড। সেই আশা আরও একটু চওড়া হয় দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও ররি বার্নসের ৬৮ রানের পার্টনারশিপে। কিন্তু তারপরই ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামিয়ে ইংল্যান্ডের টেস্ট জয়ের স্বপ্ন চূর্ণবিচূর্ণ করে দেন ক্যামেরন গ্রিন, প্যাট কামিন্স, স্কট বোলান্ডরা। তিনটি করে উইকেট তুলে নেন তারা। সেই ৬৮ রানের পর মাত্র ২২ ওভারেই সব শেষ। ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। হোবার্টে শুরু হয় ব্রিটিশ বধের সেলিব্রেশন।
সিরিজের প্রথম থেকেই অজি পেসের সামনে অসহায় দেখিয়েছে ইংলিশ ব্যাটারদের। শেষ টেস্টেও আগুনে বোলিং করলেন মিচেল স্টার্করা। ১৪৬ রানে পঞ্চম টেস্ট জয়ের পর অধিনায়ক কামিন্স বলছিলেন, সত্যিই যেন স্বপ্ন দেখছি। দারুণ লাগছে। পাঁচ ম্যাচ শেষে অনেক ভাল কিছু সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে ৪-০ জয়। অধিনায়ক হিসেবে এই সাফল্যে খুব ভাল লাগছে।
এরপরই মনে করিয়ে দেন কঠিন পরিস্থিতির কথাও। সিরিজ শুরুর আগেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন টিম পেইন। নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় কামিন্সকে। দ্বিতীয় টেস্টের আগে আবার ক্যাপ্টেন বদল। করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় বাদ পড়েন কামিন্স। অধিনায়কের আসনে বসেন স্টিভ স্মিথ। তারপর নিভৃতবাস কাটিয়ে প্রত্যাবর্তন কামিন্সের।
তিনি বলেন, এই সিরিজে ১৫ জন ব্যাটারকে খেলানো হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে জয়টা আমাদের কাছে অনেক বড় সাফল্য।
ক্যামেরন গ্রিনের প্রশংসাও শোনা গেল কামিন্সের গলায়। হোবার্টে দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি মূল্যবান সময়ে ২৩ রানও করেন তিনি। কামিন্সের কথায়, ব্যাটে-বলে দারুণ খেলেছে ক্যাম গ্রিন। বোলান্ডও অসাধারণ। আর আশা করি পুরানো সৈনিকরা এভাবেই খেলা চালিয়ে যাবেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ