২০২২ আইপিএলে কোন দলের জার্সিতে মাঠে নামবেন শুভমন গিল? খবর সত্যি হলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ছেড়ে আগামী মৌসুমে নতুন ফ্রাঞ্চাইজি আহমেদাবাদের হয়ে খেলবেন পাঞ্জাব ক্রিকেটার শুভমন গিল। সূত্রের খবর, সাত কোটি টাকায় তাকে সই করিয়ে ফেলেছে আইপিএলের নতুন দল।
যদিও শোনা গিয়েছিল, তাদের প্রথম পছন্দ ছিল উইকেটকিপার ঈষাণ কিষাণ। আগামী ২২ জানুয়ারি দুই নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি আহমেদাবাদ ও লক্ষ্ণৌকে জানাতে হবে কোন তিন ক্রিকেটারকে সই করাচ্ছে তারা। ফ্রি ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে তিনজন করে ক্রিকেটার বেছে নেবে আহমেদাবাদ ও লক্ষ্ণৌ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নাইট শিবিরে ধাক্কা দিয়েছে আহমেদবাদ।
সূত্রের খবর, তিন ক্রিকেটার ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলেছে আহমেদাবাদ। হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়াক করতে চলেছে তারা। সঙ্গে থাকছেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। রশিদকে রিটেন করেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাকে দলে পেতে ঝাঁপিয়েছিল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার লক্ষ্ণৌ ফ্রাঞ্চাইজি। কিন্তু সেই জাল কেটে আফগান স্পিনারকে ১৫ কোটি টাকায় সই করিয়ে ফেলেছে আহমেদাবাদ।
দল গুছিয়ে ফেলেছে আর এক নতুন ফ্রাঞ্চাইজি লক্ষ্ণৌও। কেএল রাহুলকে অধিনায়ক করতে চলেছে তারা। দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার দলের পছন্দের তালিকায় তরুণ স্পিনার রবি বিষ্ণোই। বিদেশি বাছইয়ের ক্ষেত্রে এখনও নাকি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি লক্ষ্ণৌ। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাডা ও অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কোস স্টইনিস আছে তাদের টার্গিট লিস্টে। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এর মধ্যে আবার খবর, একাধিক অস্ট্রেলিয়ান তারকা সরে দাঁড়াতে পারেন আইপিএল থেকে। তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে চোখ রাখছে দুইটি ফ্রাঞ্চাইজির টিম ম্যানেজমেন্ট।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, অনেক পরে শুরু করেও লক্ষ্ণৌকে টপকে গিয়ে অনেক দ্রুত দল গুছিয়ে ফেলেছে আহমেদাবাদ। তিন ক্রিকেটারকে অনেক বড় অঙ্কেই সই করিয়েছে তারা। হার্দিক ও রশিদ দুইজনই গত মৌসুমে খেলেছেন ১১ কোটি টাকায়। ৪ কোটি বেড়ে এবার দুইজনের বেতন হতে চলেছে ১৫ কোটি। অন্যদিকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় গত মৌসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছিলেন শুভমন। এবার তিনি পেতে চলেছেন ৭ কোটি টাকা। তাই ৯০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৭ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই শেষ করে ফেলেছে তারা। বাকি টাকা নিয়ে নিলামের টেবিলে বসবে আহমেদাবাদ। অন্য দিকে শোনা যাচ্ছে, ২০ কোটি টাকায় নাকি কেএল রাহুলকে সই করিয়েছে লক্ষ্ণৌ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত