২০০৪ সালের মার্চের পর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোনো জয় নেই নিউজিল্যান্ডের। দেড় যুগের সেই খরা ঘোচানোর মঞ্চ কিউইরা তৈরি করে ফেলেছেন ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ২ দিনেই। টেস্টের স্কোরকার্ড দেখলে যে কেউ ভাবতে পারেন, খেলা হচ্ছে বুঝি ভিন্ন দুটি উইকেটে।
দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে অলআউট ৯৫ রানে, সেখানেই নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৮২। দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় তিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে। ডিন এলগাররা এখনও পিছিয়ে ৩৫৩ রানে। মূলকথা, ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনও একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাল নিউজিল্যান্ড। সবমিলিয়ে ম্যাচের ভাগ্যও এখন মোটামুটি পরিষ্কার।
৩ উইকেটে ১১৬ রানে দিন শুরু করেছিলনিউ জিল্যান্ড। নিকলস ৩৭ ও নাইটওয়াচম্যান নিল ওয়াগনার ২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠে নামেন। ৫ ও ২৪ রানে জীবন পাওয়া নিকলস ১৫৬ বলে ১১ চারে সেঞ্চুরি করেন। দ্বিতীয় সেশনের মাঝামাঝি সময়ে তিনি আউট হন ১০৫ রান করে। তার আগে হাফ সেঞ্চুরিবঞ্চিত ওয়াগনারকে (৪৯) নিয়ে ৮০ রানের জুটি ভাঙেন রাবাদা।
ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে ৪৮ ও ব্লান্ডেলকে নিয়ে ৩৪ রান যোগ করেন নিকলস। তার বিদায়ের পর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে সঙ্গে করে স্কোরবোর্ড আরো মজবুত করেন ব্লান্ডেল। ৪২ বলে ৪৫ রান করে ডি গ্র্যান্ডহোম বিদায় নেন। ব্লান্ডেলকে বেশি সময় দিতে পারেননি কাইল জেমিসন (১৫) ও টিম সাউদি (৪)। তবে বল হাতে দারুণ দাপটের পর শেষ জুটিতে ব্লান্ডেলের সঙ্গে চমৎকার এক জুটি গড়েন হেনরি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি।
এই জুটিতে দলের স্কোর সাড়ে চারশ ছাড়ায়। ব্লান্ডেল তৃতীয় সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন। মার্কো জানসেনের বলে উইকেটকিপার কাইল ভেরিন্নের হাতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ধলা পড়েন তিনি। রিভিউ নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার, তাতে দেখা যায় ব্যাটে বল হালকা ছুঁয়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েছে। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি উদযাপন হয়নি ব্লান্ডেলের। ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ১৩৮ বলে ১২ চারে ৯৬ রান করেন। ৯৪ রানের জুটি গড়তে হেনরি অবদান রাখেন ৫৮ রান করে। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ডুয়ান্নে অলিভিয়ের। দুটি করে পান রাবাদা, গ্লেন্টন স্টুরমান ও এইডেন মার্করাম।
জবাব দিতে নেমে টিম সাউদির বোলিং তোপে পড়ে প্রোটিয়ারা। সারেল আরউইকে রানের খাতা খুলতে দেননি কিউই পেসার, দ্বিতীয় বলেই আউট। পরে হেনরি ফেরান অধিনায়ক এলগারকে (০)। মার্করামও সুবিধা করতে পারেননি, সাউদির শিকার হন ২ রান করে। পরে রাসি ফন ডার ডুসেন (৯*) ও টেম্বা বাভুমা (২২*) এই ধস সামলে দিন শেষ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ