ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর তিনিই হয়ে উঠেছেন রিয়ালের উদ্ধারকর্তা। বিপদের সময় দলকে একার কাঁধে টেনে তোলেন। লা লিগা হোক কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, করিম বেঞ্জেমাই রিয়াল মাদ্রিদের আশা ভরসা।
রোনালদো রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাস ঘুরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গিয়েছেন। রিয়ালের ফর্ম মাঝে সামান্য হোঁচট খেলেও, এরপর আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবারও লা-লিগা জেতার অন্যতম দাবিদার তারা। আর রিয়ালের এই সাফল্যে দলনায়কই তাদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। বিপক্ষ শিবিরে মেসি, নেইমার, এমবাপ্পের মতো তারকারা থাকলেও নিজের দিনে তিনিই সেরা।
সবাইকে ছাপিয়ে যাবতীয় লাইমলাইট কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। দেশের জার্সিতে জিনেদিন জিদান ঠিক যেমনটা ছিলেন। ক্লাবের জার্সিতে করিম বেঞ্জেমাও ঠিক তেমনই। ১৫ মিনিটের একটা স্পেলেই পিএসজির স্বপ্ন শেষ করে দিলেন। সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়লেন ফরাসি সুপারস্টার। বয়স বাড়লেও কেন তাকে রিয়াল এখনও রেখে দিয়েছে তা বুঝিয়ে দিলেন। কেন জাতীয় দলে তাকে ফিরিয়ে এনেছেন দিদিয়ের দেশঁ তাও বোঝালেন বেঞ্জেমা।
পিএসজিকে উড়িয়ে শেষ আটে চলে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। কোয়ার্টার ফাইনালে যেই প্রতিপক্ষ হোক, বেঞ্জেমার রিয়াল নিঃসন্দেহে ফেভারিট। ম্যাচের পর বেঞ্জেমা বলেন, লা লিগা হোক কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রত্যেকটা ম্যাচই এখন আমাদের কাছে ফাইনাল। আজ আমরা দেখিয়ে দিলাম রিয়াল মাদ্রিদ এখনও বেঁচে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি পিএসজি বল ধরে খেলতে ভালোবাসে। আমরা শুরুটা ভালো করি। প্রথম থেকেই গোল করার চেষ্টা করি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়। মানসিক শক্তির জেরেই আমরা ম্যাচটা বার করতে সক্ষম হয়েছি।
পিএসজির বিরুদ্ধেবহুদিন বাদে সেই পুরনো রিয়াল মাদ্রিদকে দেখা গেল। ম্যাচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে রিয়াল লড়াই জারি রেখে যায়। বেঞ্জেমার হাত ধরেই সেই হালা মাদ্রিদকে দেখা গেল।
বেঞ্জেমার প্রশংসা কোচ আন্সেলোত্তির গলাতেও। তিনি বলেন, আমরা একটা কঠিন ম্যাচ জিতেছি। এমবাপ্পের গোলের পর আমরা আরও চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে আমরা চাপে পড়লেও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আর তাতেই সাফল্য। প্রথম গোলের পরই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। ওই গোলটাই ম্যাচের রং পাল্টে দিল। সমর্থকরা আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে, বিশ্বাস রেখেছে। আমরাও তাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পেরেছি। এক অসাধারণ রাত।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ