এবারও জয়ের দেখা পেল না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের ১৮তম ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরোর বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারে রোহিত শর্মার দল। এ নিয়ে আসরে টানা চার হারের দেখা পেল দলটি।
শনিবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এক সময়ে মনে হয়েছিল খুব অল্প রানে শেষ হয়ে যাবে মুম্বাই। কিন্তু মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট ঝলসে ওঠে। পরপর যখন উইকেট যাচ্ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের, ঠিক তখন রুখে দাঁড়ান সূর্য কুমার যাদব। তার ৩৭ বলে ৬৮ রানের জন্য ২০ ওভারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স করে ৬ উইকেটে ১৫১ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয়। ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫২ রান করে শেষ হাসি হাসেন বিরাট কোহলিরা।
এর আগের ম্যাচে কেকেআর’র কাছে হেরে গিয়েছিল মুম্বাই। প্যাট কামিন্সের মারমুখী ব্যাটিং হারিয়ে দিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। এদিনও হারতে হলো রোহিত শর্মার দলকে। মেগা টুর্নামেন্টে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি মুম্বাই। টানা চার ম্যাচ হারল রোহিতের দল।
মুম্বাইয়ের হয়ে শুরুটা ভাল করেছিলেন ইশান কিষান ও রোহিত শর্মা। দলের রান যখন ৫০ ঠিক তখন রোহিত শর্মার উইকেট যায়। ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যান। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের রান তখন ৬০। এরপরেই নাটকীয় পট পরিবর্তন। ইশান কিষান (২৬), তিলক ভার্মা (০) এবং পোলার্ড (০) দ্রুত ফিরে যান। এরপর সূর্যকুমার যাদব পালটা মারের খেলা শুরু করেন। এর মধ্যেই রামনদীপ সিং (৬) ফিরে যান। মুম্বাই হয়ে যায় ৬ উইকেটে ৭৯।
সূর্যকুমার এরপরে আলো জ্বালান মুম্বাইয়ের ইনিংসে। মাত্র ৩৭ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে সাজানো ছিল ৫টি চার ও ৬টি ছয়। জয়দেব উনাদকড়ও (১৩ অপরাজিত) তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন।
মুম্বাইয়ের রান তাড়া করতে নেমে ৫০ রানে প্রথম উইকেট হারায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ফ্যাফ দু প্লেসি (১৬) মারতে গিয়ে আউট হন জয়দেব উনাদকড়ের বলে। ওপেনার অনুজ রাওয়াতের সঙ্গে যোগ দেন বিরাট কোহলি। এই দুই ব্যাটসম্যান আরসিবি ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন। রাওয়াত ও কোহলি ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অনুজ রাওয়াত রান আউট হন ব্যক্তিগত ৬৬ রানে। আরসিবি-র রান তখন ২ উইকেটে ১৩০। ক্রিজে জমে যাওয়া রাওয়াত মোক্ষম সময়ে আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ডাগ আউটে ফেরেন বিরাট কোহলি (৪৮)। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে আরসিবি। বাকি কাজটা সারেন দীনেশ কার্তিক ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
বিডি প্রতিদিন/এমআই