ফের ধাক্কা দিল্লি ক্যাপিটালসে। করোনা আবার থাবা বসাল ঋষভ পান্তের টিমে। মিচেল মার্শ, টিম সিফার্টের মতো দুই ক্রিকেটারসহ টিমের আরও চারজন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এবার করোনার গ্রাসে পড়লেন কোচ রিকি পন্টিংও। তবে তার কোভিড-১৯ টেস্ট পজিটিভ নয়। তার পরিবারের এক সদস্য আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। যে কারণে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে পান্তদের কোচকে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলতে নামে দিল্লি। কিন্তু ডাগআউটে থাকতে ছিলেন না পন্টিং। দিল্লি ছাড়া আর কোনও টিমে এখনও করোনা ঢোকেনি। কিন্তু আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। আইপিএলের অন্য কোনও টিমের ক্রিকেটার যদি হঠাৎ আক্রান্ত হয়, তা হলে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবে বিসিসিআই। তবে পন্টিংয়ের পরিবারেও করোনা ঢুকে পড়ায় খানিকটা চিন্তায় পড়েছে আইপিএল আয়োজকরা।
এক বিবৃতিতে দিল্লি টিমের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দিল্লি ক্যাপিটালসের হেড কোচের পরিবারের এক সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। পন্টিংয়ের আরটি পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। যদিও তিনি করোনা সংক্রমিতের কাছাকাছি ছিলেন। তাই টিমের কথা ভেবে কোচকেও পাঁচ দিনের জন্য আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। সেই কারণেই রাজস্থান ম্যাচে মাঠে থাকতে পারছেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে পন্টিংয়ের পরিবার যাতে ভালো থাকে, ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফ থেকে সব রকম চেষ্টা করা হবে।
১০ দিন আগেই করোনার কবলে পড়েছে দিল্লি। ফিজিও প্যাট্রিক ফার্হার্ট প্রথম সংক্রমিত হন। এরপর একে একে আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করে। পন্টিংয়ের পরিবারের এক সদস্য আক্রান্ত হয়ে পড়ায় একটাই প্রশ্ন, এবার কি করোনা ঠেকাতে নিয়মকানুন আরও কড়া হবে? এমনিতে শুরু থেকে আইপিএল আয়োজকরা বলেছে, টিমের সংস্পর্শে আসতে পারবেন না কেউই। বিধি ভঙ্গ করলেই বিরাট অঙ্কের জরিমানা। দিল্লি টিমে এভাবে করোনা ঢুকে পড়ল কেন? এ নিয়ে কি তদন্ত করবে বোর্ড? যা জানা যাচ্ছে- যে হোটেলে রয়েছে দিল্লি টিম, সেখানকার কিছু কর্মীও আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতি যে হালকা নেওয়া যাবে না, বিসিসিআই খুব ভালো বুঝতে পারছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ