আগামীকাল ২৭ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপ শুরু হচ্ছে। এর পর দিন ২৮ আগস্ট মুখোমুখি হবে। এখন ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের বিরুদ্ধে বাইশ গজের যুদ্ধে নামার আগে বিরাট কোহলি তার প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে স্মরণ করলেন। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের টুইট এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল।
টুইটারে বিশ্বকাপ জয়ী ধোনির সঙ্গে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছেন বিরাট কোহলি। সেখানে তিনি লিখেছেন, “এই ব্যক্তির বিশ্বস্ত ডেপুটি হওয়াটা ছিল আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দের এবং উত্তেজনাপূর্ণ পর্ব। আমাদের জুটি সব সময় আমার কাছে বিশেষ হয়ে থাকবে। ৭+১৮ ।”
২০০৮ সালে ধোনির অধিনায়কত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন বিরাট। কোহলির ‘বিরাট’ ক্যারিয়ার গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। পরে তার ডেপুটি কোহলির হাতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেন বিশ্বকাপ জয়ী নেতা। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো কোহলি টেস্টে অধিনায়ক হন, তারপর তিনি একদিনের এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বও পান। তবে গত তিন বছর সময় ভাল যাচ্ছে না কোহলির।
এশিয়া কাপের পরেই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামবে রোহিত শর্মার ভারত। এরপর ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড। এমন বড় মঞ্চে সবার নজর কোহলির ব্যাটের দিকেই রয়েছে। তবে যতই প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের দিকে নজর থাকুক, গত তিন বছর ধরে তাকে চেনা আগ্রাসী মেজাজে দেখা যাচ্ছে না। সেটা পরিসংখ্যান দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। চলতি বছর একদিনের ক্রিকেটে কোহলি ৮ ম্যাচে মাত্র ১৭৫ রান করেছেন। ৪ টেস্টে তার রান ২২০।
এদিকে মাত্র ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোহলি ব্যাট থেকে মাত্র ৮১ রান এসেছে। এমনকি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জার্সি গায়ে এবারের আইপিএল-এ তেমন সাফল্য পাননি তিনি। ১৬ ম্যাচে রান করেছেন ৩৪১। অর্ধ শতরান দুটি। যদিও ছন্দ হারালেও বিরাট কোহলি ম্যাচ খেলার থেকে বিশ্রাম নেওয়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলেননি।
তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রেকর্ড কিন্তু বিরাট কোহলির হয়েই কথা বলছে। প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ১৩টি একদিনের ম্যাচে ৫৩৬ রান করেছেন কোহলি। সর্বোচ্চ ১৪৮ বলে ১৮৩ রান। ২০১২ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বোলারদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। গড় ৪৮.৭২। সঙ্গে রয়েছে দুটি শতরান ও দুটি অর্ধ শতরান।
একদিনের ফরম্যাটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানি বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কোহলির রাজত্ব চলেছে। ৭ ম্যাচে করেছেন ৩১১ রান। সর্বোচ্চ ৬১ বলে অপরাজিত ৭৮ রান। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে বিপক্ষের বোলারদের বধ করেছিলেন তিনি। গড় ৭৭.৭৫। অর্ধ শতরান ৩টি। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমদের কাছে ভারত ১০ উইকেটে হারলেও, কোহলির ব্যাটে কিন্তু রান এসেছিল। ৪৯ বলে ৫৭ রান করেছিলেন তিনি। তাই কোহলি যদি তার মাইলস্টোন ম্যাচে বড় রান করে নিন্দুকদের চুপ করিয়ে দেন, তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/কালাম