মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে বাংলার ক্রিকেটপাড়ায় একটা শোরগোল আছে সব সময়। অনেকেই মনে করেন এই তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয় না। আবার সাইফউদ্দিনও মাঝে মাঝে বলে থাকেন, ৬-৭ নন ব্যাটিংয়ে তিনি আরও ওপরের অবস্থান চান। শেষের দিকে নামানো হয় বলেই তিনি ভালো কিছু করতে পারেন না।
তবে মাঠের খেলার চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। সাইফউদ্দিন যতবার বড় আসরে দলকে খেলায় রাখার সুযোগ পেয়েছেন, ততবারই তিনি নিজের নার্ভটা ঠিকঠাক ধরে রাখতে পারেননি। মঙ্গলবারের এশিয়া কাপের ম্যাচেও তিনি একই রকম কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ১৮তম ওভারে এসে দিয়েছেন ২২ রান। মোস্তাফিজের ১৭ রানের পর তার ওই ওভারেই মূলত বাংলাদেশের হারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।
যদিও আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ হারার দায় সাইফউদ্দিনের একার নয়। এই ম্যাচে বাংলাদেশের কোন ডিপার্টমেন্টই ভালো করেনি। তবে সাইফউদ্দিনের এই খেই হারানোর রোগ পুরনো। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। সেই ম্যাচেও ১৫তম ওভারে ২২ রান দিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন।
এর আগেও ২০ ওভারের ক্রিকেটে এক ওভারে ৩১ রান দিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২০১৭ সালে সাউথ আফ্রিকার ডেভিড মিলার তার প্রথম পাঁচ বলে টানা ছক্কা মেরেছিলেন। শেষ বলে নেন এক রান।
২০২২ সালে এসেও সেই নার্ভ ঠিক রাখতে না পারার রোগে ভুগছেন সাইফউদ্দিন। বড় ম্যাচ, বড় দায়িত্ব এলেই তিনি খেই হারান, তার জন্য দলও এগিয়ে যায় বিপর্যয়ের দিকে। ফেনীর এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার এই বৃত্ত ভাঙবেন কবে?
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল