আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিয়েও রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শেষ পর্যন্ত বের হতে পারেননি দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে আবারও তারা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন।
বুধবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে যান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ সময় ছয় দফা দাবিতে তাদের অবরুদ্ধ করেন মাইলস্টোনসহ উত্তরার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার এক পর্যায়ে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যান। বেলা ৩ টা ৪০ মিনিটে পুলিশি প্রহরায় দুই উপদেষ্টা মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হন। কিন্তু ক্যাম্পাসের মূল গেটের বাইরে অবস্থান নিয়ে ছাত্ররা দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকলে আবারও উপদেষ্টারা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ফিরে যান।
এদিকে দিনের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি মেনে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। বেলা দেড়টায় অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবির প্রত্যেকটিই যৌক্তিক।
শিক্ষার্থীদের দাবি ছয়টি হলো-
১. নিহতদের সঠিক সংখ্যা জানাতে হবে।
২. আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৩. সেনাবাহিনী কর্তৃক শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
৪. নিহতদের বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. ঝুঁকিপূর্ণ এবং পুরোনো যুদ্ধ ও ট্রেনিং বিমানগুলো বাতিল করে আধুনিক বিমান চালু করতে হবে এবং
৬. বিমান বাহিনীর ট্রেনিং পদ্ধতি ও কেন্দ্র পরিবর্তন করে মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ