সেরেনা উইলিয়ামস বিদায় বলেও একটুখানি কিন্তু রেখে দিয়েছেন। তবে তার পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ার শেষ বলেই ধরে নিয়েছে প্রায় সবাই। আরেক কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের বিদায়ের ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবে অনেকের মতো আবেগ ছুঁয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের এই নারী টেনিস তারকাকে।
সেরেনা বললেন, তার নিজের ও লাখো মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা ফেদেরার। সুইস তারকাকে অবসর ক্লাবে স্বাগত জানালেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরে চোটের সঙ্গে লড়াই করা ৪১ বছর বয়সী ফেদেরার অবসরের ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। লন্ডনে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া লেভার কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক টেনিসকে বিদায় জানাবেন পুরুষ এককে ২০ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা।
গত মাসে একটি ম্যাগাজিনে নিজের কলামে সেরেনা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউএস ওপেন দিয়ে ইতি টানতে পারেন ক্যারিয়ারের। কিন্তু লড়াই শুরুর পর তার সুর খানিকটা বদলে যায়। এই মাসের শুরুতে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামে তৃতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার আয়লা তমইয়ানোভিচের বিপক্ষে হারের পরও অবসর নিয়ে রহস্য রেখে দেন ৪০ বছর বয়সী তারকা।
ফেদেরারের অবসর ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাতে ইনস্টাগ্রামে তার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করে আবেগঘন বার্তা দেন নারী এককে ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সেরেনা।
তিনি বলেন, এটা বলার জন্য আমি উপযুক্ত উপায় খুঁজছিলাম, সবার কাছে তুমি এই খেলাকে অলঙ্কৃত করেছো, একেবারে নিখুঁতভাবে, ঠিক তোমার ক্যারিয়ারের মতো। আমি সবসময় তোমার দিকে তাকিয়ে কেবল শ্রদ্ধাই জানিয়েছি। আমাদের পথ সবসময় ছিল একইরকম, অনেক মিল।
সেরেনা আরও বলেন, তুমি লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছো, আমাকেও। আমরা কখনও ভুলব না। তোমাকে সাধুবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে তুমি যাই করো, দেখতে অধীর অপেক্ষায় আছি। অবসরের ক্লাবে স্বাগতম। রজার ফেদেরার হওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ।
সেরেনা ও ফেদেরার-দুইজনের ক্যারিয়ারই দুই যুগ স্থায়ী। একে অপরের বিপক্ষে তারা খেলেছেন একবারই। ২০১৯ সালে হপম্যান কাপে মিশ্র দ্বৈতে মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। ফেদেরার স্বদেশি বেলিন্ডা বেনচিচের সঙ্গে জুটি বেঁধে ওই টুর্নামেন্টের রেকর্ড ১৪ হাজারের দর্শকের সামনে হারিয়ে দিয়েছিলেন সেরেনা ও ফ্রান্সিস টিয়াফো জুটিকে।
সেরেনার বড় বোন আরেক টেনিস গ্রেট ভেনাস উইলিয়ামসও ইনস্টাগ্রামে ফেদেরারের সঙ্গে ছবি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, সর্বকালের সেরা। ইতিমধ্যেই তোমাকে মিস করছি রজার ফেদেরার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ