কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সবশেষ চেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে গেল চিলির। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে তাদের অযোগ্য খেলোয়াড় খেলানোর অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় লাতিন আমেরিকার দেশটির আপিল বাতিল করে দিল ফিফার আপিল বিভাগ।
ফলে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে আর কোনো বাধা থাকল না ইকুয়েডরের। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে চিলির আপিলের প্রেক্ষিতে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায় ফিফা।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইকুয়েডর অযোগ্য ফুটবলার খেলিয়েছে-এমন অভিযোগ তুলেছিল চিলি। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে তাদের সেই দাবি গত ১০ জুন খারিজ করে দেয় ফিফা। তবে তাতে সন্তুষ্ট ছিল না চিলি। এবার আপিল বিভাগেও তা বাতিল হয়ে গেল।
ইকুয়েডরের হয়ে খেলা ডিফেন্ডার বায়রন কাস্তিয়োর জন্ম ১৯৯৫ সালে, কলম্বিয়ার টুমাকোয়, গত মে মাসে এমনটা দাবি করে চিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু ইকুয়েডর তাদের নথিতে উল্লেখ করেছে, ১৯৯৮ সালে ইকুয়েডরের শহর প্লায়াসে জন্ম তার। ইকুয়েডরের ক্লাব বার্সেলোনা এসসির ডিফেন্ডার কাস্তিয়ো ভুয়া পাসপোর্ট ও জন্মসনদ ব্যবহার করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আটটি ম্যাচ খেলেছেন বলে অভিযোগ করে চিলি।
চিলির অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারাতে হতো ইকুয়েডরকে। তবে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দাখিল করা তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণের পর গত ১০ জুন ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিল ফিফা।
কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ ছিল চিলি। পরে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফিফা আপিল কমিটির কাছে পুনরায় আবেদন করে তারা। তাতেও লাভ হলো না। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই শেষ করেছিল চিলি। চতুর্থ স্থানে থেকে কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ইকুয়েডর।
বাছাইয়ে ২৬ পয়েন্ট পায় ইকুয়েডর। কাস্তিয়োর খেলা ৮ ম্যাচ থেকে তারা পায় ১৪ পয়েন্ট। এই পয়েন্টগুলো হারালে কাতার বিশ্বকাপে খেলা হতো না দলটির।
চিলির দাবি অনুযায়ী, ইকুয়েডরের বিপক্ষে দুই ম্যাচের পূর্ণ ৬ পয়েন্ট পেলে বিশ্বকাপে টিকেট পেত তারা। তাদের সে আশা শেষ হয়ে গেল।
আগামী ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে কাতার, নেদারল্যান্ডস ও সেনেগালের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ইকুয়েডর। আসরের উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে তারা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ