টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য বাংলাদেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির কাঠামো শক্ত করার দাবিটা আবার তুললেন সাকিব আল হাসান। সাদা পোশাকে ভালো করার তালিমটা ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই নিয়ে আসার তাগিদ দিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
বাংলাদেশের ক্রিকেট সূচিতে প্রতি বছর প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট হয় দুইটি। একসময় লাল বলের ক্রিকেটের একমাত্র আসর ছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। পরে শুরু করা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ। নানা সময়ে এই দুই টুর্নামেন্টের ফরম্যাট বদলেছে। তবে ফরম্যাট যেরকমই থাকুক, এক মৌসুমে ১০টির বেশি ম্যাচ খেলা সম্ভব নয় কোনো ক্রিকেটারের জন্য।
টেস্ট ক্রিকেটের জন্য তৈরি হতে এই সংখ্যাটি যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন সাকিব। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক তুলে ধরলেন ভারতের সঙ্গে নিজ দলের পার্থক্য। তিনি বলেন, প্রথম শ্রেণির ম্যাচ আমাদের আরও বাড়াতে হবে, যদি আমরা টেস্ট ক্রিকেটে আসলেই উন্নতি করতে চাই। একজন ক্রিকেটারের ৫-৭-১০ ম্যাচের যে অভিজ্ঞতা, আর ৫০-৬০-৭০ ম্যাচ খেলার যে অভিজ্ঞতা, এটা অনেক পার্থক্য গড়ে দেয়। আমি নিশ্চিত ভারতের যে ক্রিকেটাররা এসেছে, ওদের প্রায় সবার একশর ওপরে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা আছে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খুব বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকে না। এই বছর জাতীয় লিগ ও বিসিএলের সময় আন্তর্জাতিক সিরিজ থাকায় শীর্ষ তারকাদের পাওয়া যায়নি। তবে তাদের এক পাশে রেখে পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারদের যথাযথভাবে তৈরি হওয়ার জন্য প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকেই মূল মঞ্চ হিসেবে দেখেন সাকিব।
তিনি বলেন, আমি এতদিন ধরে আছি… হয়তো আমি অনেক দিন ঘরোয়া খেলি না, তবে অন্যান্য যারা খেলে, একটা মৌসুমে কয়টা ম্যাচ খেলে? ৬টা থেকে ৮টা হয়তো। যদি এরকম খেলে, ১০ বছরে হবে ৮০টা ম্যাচ। আমরা যদি ৮০টা প্রথম শ্রেণির ম্যাচ কোনোভাবে ৫ বছরে খেলতে পারি, আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো টেস্ট ক্রিকেটার বের হবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ