গুগুল কর্তৃপক্ষ কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রসেসর তৈরি করতে চলেছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার পরিচালনা করার জন্য এই অত্যাধুনিক প্রসেসর তৈরির কাজে হাত দিয়েছে তারা।
সুপারকন্ডাক্টিং ইলেকট্রনিক্স ওপর ভিত্তি করে এই প্রসেসর তৈরি হবে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের এই প্রসেসর তৈরি করতে ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা বারবারার পদার্থবিদ জন মার্টিনিস গুগুল সংস্থায় যোগ দিয়েছেন।
গুগুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এই কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে অপ্টিমাইজেশনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন গবেষকরা। গুগুলের এই ল্যাব তৈরির ক্ষেত্রে নাসা ও ইউনিভার্সিটি স্পেস রিসার্চ সেন্টারের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার–
বর্তমানে ইলেকট্রনিক্স কম্পিউটার কাজ করে বায়োনারি পদ্ধতিতে। এক্ষেত্রে ০ ও ১ এই দুটি বিটে কাজ করে ইলেকট্রনিক্স কম্পিউটার। কোয়ান্টাম কম্পিউটার আবিষ্কার করা হলে ০ ও ১ এর পাশাপাশি আরও দুটি বিট পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীন কার্যাবলী দুইয়ের বেশি কিউবিটের মাধ্যমে সম্পাদন সম্ভব হবে বলে এক্ষেত্রে গতি, কার্যকারিতা ও তথ্য ধারণক্ষমতাও বেড়ে যাবে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ রজার পেনরোজ মনে করেন, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সামর্থ্য মানবমস্তিষ্কের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে। তবে তিনি এজন্য লম্বা সময়ের ব্যবধানের কথা বলেছেন। তাঁর মতে, এই কম্পিউটার তৈরি করতে গবেষকদের ২০৪৫ সাল পেরিয়ে যেতে পারে।