সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে চীনে এখন 'বিয়ে ঘাতক' হিসেবেই দেখা হচ্ছে। গবেষকেরা বলছেন, মানুষকে কাছে আনার জন্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ব্যবহার হলেও কখনো কখনো এর উল্টোটাও ঘটতে দেখা যায়। চীনে এখন অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিবাহিত স্ট্যাটাসটি পরিবর্তন করে 'সিঙ্গেল' লিখে দিচ্ছেন।
চীনের সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে এখন বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে। চীনের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জুন মাসের তথ্যানুযায়ী, ২০১৪ সালে দেশটিতে ৩৬ লাখ ৩৭ হাজার বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৯ শতাংশ বেশি।
দেশটির সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ২০০২ সাল থেকে চীনে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বাড়ছে। বেইজিংভিত্তিক মনোবিদ ওয়াইয়ু কান বলেন, 'পরকীয়া-সংক্রান্ত সমস্যার আক্রান্ত মানুষ যত পেয়েছি তাদের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের সমস্যা শুরু হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পেছনে সরাসরি সামাজিক যোগাযোগের সাইটকে দায়ী করতে নারাজ। তাদের মতে, যে সম্পর্ক আগে থেকেই তিক্ত অবস্থায় থাকে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট তা ভাঙতে প্রভাবকের ভূমিকা রাখতে পারে। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট কখনো মূল কারণ হতে পারে না।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জুলাই ২০১৫/শরীফ