শিরোনাম
২০ এপ্রিল, ২০২১ ১১:২১

লকডাউনে ৩৩৩ নম্বরে কলের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ

অনলাইন ডেস্ক

লকডাউনে ৩৩৩ নম্বরে কলের পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণ

প্রতীকী ছবি

২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয় জাতীয় হেল্পলাইন ও তথ্য বাতায়ন কেন্দ্রের হটলাইন নম্বর ৩৩৩। লকডাউনে সেবা পেতে নাগরিকদের এই প্লাটফর্মে কলের পরিমাণ বেড়েছে   দ্বিগুণেরও বেশি। এতে অটোমেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত সেবা দেওয়া যায়।  

২০২০ সালে দেশে করোনা ভাইরাস আক্রমণের সময় এবং পরবর্তীতে লকডাউন আরোপিত হলে প্ল্যাটফর্মটির প্রয়োজনীয়তা, দক্ষতা এবং উপকারিতা আরও বেশি পরিলক্ষিত হয়। সেটি অব্যাহত আছে চলতি লকডাউনেও।

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপির সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত হয়ে আসছে প্ল্যাটফর্মটি।

এটুআইর কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া আউটরিচ কনসালট্যান্ট আদনান ফয়সল জানান, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চলতি ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন বছরে ৩৩৩ নম্বরে ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি ফোন কল গ্রহণ করা হয়েছে। মোট ফোন কলের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে ৫০ লাখের বেশি ফোন কল এসেছে শুধু করোনা বিষয়ক। এছাড়াও ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ সাহায্য চেয়ে কল এসেছে ১৮ লাখের বেশি।  

তিনি আরও জানান, 'জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এর মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ নাগরিককে।'

বর্তমানে প্রতিদিন প্ল্যাটফর্মটিতে ৭০ হাজারের বেশি ফোন কল আসছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতেও প্ল্যাটফর্মটিতে নাগরিকদের ফোন কলের সংখ্যা বেড়ে যায়।

৩৩৩ সম্পর্কে এটুআইর প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, 'এই হটলাইন থেকে আমরা প্রচুর তথ্যগত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এগুলোর মধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ, হোম কোয়ারেন্টিনের নিয়মাবলী, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য এবং সরকার ঘোষিত লকডাউনকালে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের ঘরে রাখার জন্য শিক্ষা, ই-কমার্স, কর্মহীন দরিদ্র নাগরিকদের জন্য ত্রাণ সুবিধা সংক্রান্ত তথ্য, বন্যার প্রভাবে কর্মহীন গরিব নাগরিকদের জন্য ত্রাণ সুবিধা, নিত্যপণ্য অথবা ওষুধ ক্রয় ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এর মাধ্যমে আমরা নাগরিকদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছি।'

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির আগে ৩৩৩ নম্বরে কল করলে প্রতি মিনিটে ৬০ পয়সা করে চার্জ কাটা হতো, কিন্তু দেশের কঠিন পরিস্থিতিতে এই হেল্পলাইনকে টোল ফ্রি করা হয়।  


বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর