এবার টেক জায়ান্ট গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবসাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অভিযোগ রয়েছে, লাভজনক বিজ্ঞাপন প্রযুক্তির ব্যবসায় একচেটিয়াত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে গুগল। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে এ সংক্রান্ত বিচার শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে গুগল অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবসা থেকে ২০০ বিলিয়ন বা ২০ হাজার কোটি ডলার রাজস্ব আয় করেছে। এই খাতের অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে গুগলের আয়ের ব্যবধান যোজন যোজন। সে কারণে অনেক দিন থেকেই গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই অনলাইন বিজ্ঞাপনের জগতে গুগল একচেটিয়া ব্যবসা করছে।
অবশ্য একচেটিয়া ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে অ্যালফাবেট। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় কোম্পানি হিসেবে গুগলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা ভঙ্গের মামলা হলো। আগস্ট মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক বলেছেন, অনলাইন সার্চ বা অনুসন্ধানের বাজারে গুগলের প্রভাব অবৈধ।
গত মাসের সেই রুলিংয়ে আরও বলা হয়, ইন্টারনেটের জগতে নিজেদের প্রাধান্য বজায় রাখতে যা যা করা দরকার, গুগল তার সবই করেছে এবং সম্ভাব্য প্রতিযোগীদের কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না। এরপর কী ঘটে, এখন সেটাই দেখার বিষয়। সেই রুলিং টিকে গেলে মার্কিন সরকার গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে; এমনকি তারা গুগলের মতো কোম্পানিকে ভেঙেও দিতে পারে। সেটা হলে বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টি-ট্রাস্ট আইনের অধীনে সবচেয়ে বড় ঘটনা হবে। ১৯৮০-এর দশকে সে দেশের কিছু টেলিকম কোম্পানি এবং ২০ শতকের শুরুর দিকে একাধিক তেল কোম্পানি এ আইনের অধীনে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
গুগল ভেঙে দেওয়া হলে বিনিয়োগকারীদের কাছে তা বড় ঘটনাই হবে। অ্যালফাবেট বড় এক কোম্পানি। এই কোম্পানির বাজার মূলধন দুই ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি, আর তার ব্যবসার মূল হাতিয়ার হচ্ছে গুগল। বিশ্বের খুব কম মানুষ ও কোম্পানি আছে, যারা কোনো না কোনোভাবে গুগলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
এই কোম্পানি কীভাবে ভেঙে দেওয়া হবে এবং এরপর তারা মুনাফা ধরে রাখতে পারবে কি না এবং বাজারে তার বড় প্রভাব পড়বে কি না, এসব প্রশ্ন উঠেছে। তার চেয়ে বড় কথা, সারা পৃথিবীতে এখন যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছে, তাতে পরিবর্তন আসবে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ