যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা এখন ফোন কলের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সেবা উপভোগ করতে পারছেন। সম্প্রতি ওপেনএআই ১-৮০০-চ্যাটজিপিটি নামে একটি টোল-ফ্রি নম্বর চালু করেছে। এটি বিশেষভাবে তাদের জন্য যাদের স্মার্টফোন অ্যাপ বা উচ্চগতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস নেই।
একটি কলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সাধারণ প্রশ্নের উত্তর থেকে শুরু করে রেসিপি, ইতিহাস, বা যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তবে বিনামূল্যে সেবার মেয়াদ এক নম্বরের জন্য প্রতি মাসে ১৫ মিনিট।
এআই সেবাটি গুগলের ২০০৭ সালে চালু হওয়া GOOG-411 এর কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে ভয়েস-রেকগনিশন ভিত্তিক সার্চ সেবা দেওয়া হতো। যদিও গুগল এ সেবা ২০১০ সালে বন্ধ করে দেয়, ওপেনএআই নতুনভাবে এই ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
চ্যাটজিপিটির ফোন সেবা জীবনকে সহজতর করতে পারলেও এটি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবহারকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, যেমন : গোপনীয়তা- কলগুলো রেকর্ড করা হবে কিনা বা ভয়েস নমুনা কীভাবে ব্যবহার হবে কিনা। মানসিক প্রভাব : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা, আবেগী সংযোগ, এবং একাকিত্ব বাড়ার সম্ভাবনা।
এ বিষয়ে ওপেনএআই তাদের ব্যবহারকারীদের ‘গোপনীয়তা নীতি’ ও 'ব্যবহারের শর্তাবলী' পড়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সম্প্রতি ওপেনএআই তাদের অলাভজনক কাঠামো থেকে একটি পাবলিক বেনিফিট করপোরেশনে (PBC) রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানটিকে প্রচলিত শর্তে বিনিয়োগ সংগ্রহের সুযোগ দেবে। তবে এই সিদ্ধান্তটি কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারে, যেমন ইলন মাস্কের পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা হতে পারে। চ্যাটজিপিটির ফোন সেবা প্রযুক্তির নতুন দিক উন্মোচন করেছে। যদিও এটি প্রযুক্তি-নির্ভর যুগে যোগাযোগকে সহজ করছে, এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আলোচনার সুযোগ এখনও বাকি।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল