নিত্যনতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বদলে যাচ্ছে চাকরির বাজার। নতুন প্রযুক্তির উত্থান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বা অটোমেশন এবং সবুজ ও টেকসই অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী...
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মূলত দুটি প্রধান কারণে বদলে যাচ্ছে চাকরির বাজার। কারণ দুটি হলো- নতুন প্রযুক্তির উত্থান বা অটোমেশন এবং সবুজ ও টেকসই অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী। ধারণা করা হচ্ছে, বিগ ডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো নতুন নতুন প্রযুক্তি শ্রমবাজারে আমূল পরিবর্তন আনবে। নতুন প্রযুক্তি সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গবেষকরা বলছেন, আগামী পাঁচ বছরে বর্তমান চাকরির বাজারের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বদলে যাবে।
নতুন নতুন প্রযুক্তি
এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। নতুন প্রযুক্তি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিশীল খাতগুলোর একটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের পাশাপাশি মেশিন লার্নিং- দক্ষতা অনেক আকর্ষণীয় সুযোগ তৈরি করবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল পেশাগুলোর একটি- প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং। এআই সম্পর্কিত অন্যান্য সম্ভাব্য চাকরির মধ্যে রয়েছে এথিসিস্ট, সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার এবং ডেভেলপারস। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তির স্বর্ণযুগে অবস্থান করা সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের জন্য ভবিষ্যতেও অবশ্যই কাজের অভাব হবে না।
‘গ্রিন’ বা সবুজ চাকরি
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ফিউচার অব জবস রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে, সব ধরনের খাত এবং শিল্পে গ্রিন বা ‘সবুজ’ চাকরির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সবুজ রূপান্তরের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৩ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। যা তৈরি হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অল্প শক্তি ব্যবহার করে বেশি উৎপাদন এবং কম নির্গমন প্রযুক্তি খাতে।’ এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমা দেশ এবং জাপান। অবশ্য চীনও এগিয়ে যাচ্ছে। কাজগুলো ব্যবসা, বিজ্ঞান, রাজনীতি বা সরাসরি পরিবেশ সম্পর্কিত হতে পারে।
স্বাস্থ্য পেশাজীবী
বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু যত বাড়ছে ততই বাড়ছে বার্ধক্যে উপনীত জনসংখ্যার হার। এ বয়স্ক মানুষের যত্ন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ক্রমেই বাড়বে। অতএব, ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের কাজের চাহিদা বেশি থাকবে। এ ছাড়া সাইকোথেরাপিস্ট ও পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট মেন্টরসের জন্যও কাজের ক্ষেত্রে তৈরি হবে।
‘ম্যানুয়াল’ কাজ
ভবিষ্যতে মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান বা বিল্ডারদের মতো ম্যানুয়াল চাকরিতে পেশাদারদের প্রয়োজন বাড়বে। কিছু ছোট ছোট সুনির্দিষ্ট কাজ রয়েছে, যা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বেশ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মানুষের কোনো বিকল্প নেই। যাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান বেশি থাকবে তারা এগিয়ে যাবে। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতেও কৃষিতে নতুন পেশার চাহিদাও বাড়বে।
গল্পকার
হাজার হাজার বছর আগে যেমন এই গল্পকারদের প্রয়োজন ছিল, তেমনি মানুষের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনো সৃজনশীল কাজ অপরিহার্য হয়ে থাকবে। লেখক, কবি, পরিচালক, অভিনেতা, কৌতুক অভিনেতা, শিল্পী এবং সংগীতজ্ঞদের প্রয়োজনীয়তা অব্যাহত থাকবে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি বাংলা