শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অ্যান্টার্কটিকার অনাবিষ্কৃত অঞ্চলগুলো রহস্যময় এবং নানা ষড়যন্ত্রের উৎস হয়ে আছে। কখনো কখনো এটাও পাওয়া যায়- বিখ্যাত ফরাসি লেখক জুলস ভার্নও ভ্রু তুলতেন। একটি তত্ত্ব বলছে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অ্যাডলফ হিটলার বরফের নিচে একটি ঘাঁটিতে বেঁচেছিলেন। আরেকটি তত্ত্ব বলছে, অ্যান্টার্কটিকার একটি প্রাচীর নাকি পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে!
যদিও বিজ্ঞানে এমন গুজব কোনোভাবে স্থান পায় না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার চর্চায় আজও এমন তত্ত্ব ঘুরে বেড়ায়। সম্প্রতি গুগল ম্যাপে ধরা পড়ল ‘রহস্যময়’ একটি দরজা। অ্যান্টার্কটিকার বরফঢাকা প্রান্তরের মাঝখানে ছোট্ট একটি দরজা বা দরজাসদৃশ বস্তু সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপর থেকেই দরজাটি নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে শুরু হয়েছে জল্পনাকল্পনা। কী এ দরজার উৎস, আর কী-বা আছে এর ভিতরে- এ নিয়ে একেকজনের মত একেকরকম।
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া রেডিটে একজন ব্যবহারকারী ছবিটি পোস্ট করেন। সঙ্গে লিখেন- ‘অ্যান্টার্কটিকায় বিশাল দরজা?’ এরপর তা ভাইরাল হয়ে যায়। নিজেদের কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দরজা সম্পর্কে মতামত শেয়ার করেন অনেক ব্যবহারকারী। কারও মতে, অ্যান্টার্কটিকার ভূগর্ভস্থ একটি গোপন বাংকারে ঢোকার পথ এ দরজা। কারও দাবি, এটি অজ্ঞাত কোনো উড়ন্ত বস্তুর (ইউএফও) অবশিষ্ট। কেউবা বলছেন, এটি একটি বিমানের ভাঙা গেট।
মূলত বরফে আচ্ছাদিত প্রান্তরটির কিছু জায়গায় শিলা (রক) দেখা যায়। আর ভাইরাল হওয়া ছবিটির ঠিক মাঝখানে দরজা বা দরজার মতো একটি কাঠামো দেখতে পাওয়া যায়, যা সামাজিকমাধ্যমে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। আমেরিকান ট্যাবলয়েড নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, এটি আসলে একটি হিমশৈলী বা আইসবার্গ! ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসলের গ্লাসিওলজির অধ্যাপক বেথান ডেভিস নিউইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছেন যে, এটি আসলে আটকে পড়া একটি আইসবার্গ যেটি ধীরে ধীরে গলছে। ওই অঞ্চলে এ ধরনের আইসবার্গ আরও রয়েছে। তথ্যসূত্র : ইউকে মেট্রো