শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

আলী রীয়াজ, ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন।

 

পৃথিবীজুড়ে এখন গণতন্ত্রের সংকট চলছে। যারা গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে, প্রকৃতি ও পরিসর বিষয়ে গবেষণা করেন তাঁদের লেখায় গত এক দশক ধরেই এ কথা পুনঃপুনঃ বলা হয়েছে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করেন তাঁদের দেওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে, আমরা যে সময়ে বাস করছি তা আসলে গণতন্ত্রের যুগ নয়। এই দুঃসময়ে একজন বুদ্ধিজীবীর কাজ কি? তিনি কী করবেন? একটি সমাজের অগ্রবর্তী অংশ হিসেবে চিন্তকের ভূমিকা কি হবে সেই প্রশ্নটি উঠছে কেননা যে কোনো সময়ের চেয়ে আজকে তাঁর ভূমিকা আরও বেশি প্রয়োজনীয়, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভূমিকার আলোচনা করতে হলে বোঝা দরকার বিরাজমান সংকটের রূপ কি, তার বৈশিষ্ট্য কি।

বৈশ্বিকভাবে গণতন্ত্রের এই সংকটের ব্যাপ্তিটা বোঝা যায় প্রাপ্ত তথ্য থেকেই। ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে প্রতি বছর যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার সর্বশেষটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত ১৩ বছর ধরে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের বিষয়ে তাঁদের সংগৃহীত তথ্যের বিবেচনায় ২০১৯ সালে ছিল সবচেয়ে খারাপ বছর। গত বছর কোনো গণতান্ত্রিক দেশের অকস্মাৎ নাটকীয় পতনের ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের যে ক্রমাগত ক্ষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি তারই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে এখন মোট জনসংখ্যার ছয় শতাংশের কম নাগরিক সম্পূর্ণ গণতন্ত্র ভোগ করেন। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশে বসবাস করেন ৪২ দশমিক ৭ শতাংশে; সব মিলে ৪৮ শতাংশ মানুষের আছে সম্পূর্ণ বা আংশিক গণতান্ত্রিক অধিকার। যার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন গণতন্ত্রের অধিকার বঞ্চিত। অবস্থার কতটা অবনতি হয়েছে সেটা বোঝার জন্য এই তথ্য মনে রাখা দরকার যে, ২০১৪ সালের হিসাবে বলা হয়েছিল সারা পৃথিবীর ১১৫টি দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র ভোগ করছেন।

সংকটের এই মাত্রা কেবল বৈশ্বিক নয়। বাংলাদেশে গত এক দশকে যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাকে ক্ষমতাসীনরা যদিও দাবি করেন ‘গণতন্ত্র’ বলে কিন্তু তাঁকে আমার বড়জোর হাইব্রিড রেজিম বা দো-আঁশলা ব্যবস্থা বলতে পারি। এই ধরনের ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো দৃশ্যত গণতান্ত্রিক অর্থাৎ এগুলোতে গণতন্ত্রের কিছু কিছু উপাদান উপস্থিত থাকে; কিন্তু মর্মবস্তুর দিক থেকে এগুলো হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি, উপর্যুপরিভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ, সংবিধানের পরিবর্তন এবং বিষাক্ত মেরুকরণের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য যে অশনিসংকেত বহন করছিল তা ২০১৩ সালেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল (আলী রীয়াজ, ‘ভঙ্গুর গণতন্ত্র থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসন?’, প্রথম আলো, ১৮ নভেম্বর ২০১৩)। গত সাত বছর বাংলাদেশের রাজনীতি এবং শাসন ব্যবস্থার যাত্রা সেই অভিমুখেই হয়েছে। এই ধরনের হাইব্রিড শাসনের আওতায় আছে পৃথিবীর ৩৭টি দেশ- বৈশ্বিক জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ। অতীতে সারা দুনিয়াজুড়ে গণতন্ত্রের উল্টো যাত্রার ঘটনা ঘটেছে দুই দফায়- ১৯২২ থেকে ১৯৪২ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৫। কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিস্তার করেনি যেখানে গণতন্ত্রের দৃশ্যমান উপাদানগুলো বহাল রেখেই কর্তৃত্ববাদী শাসনের জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে গত কয়েক দশকে। নব্বই দশকের সূচনায় যখন আশা করা হয়েছিল যে গণতন্ত্র এক বৈশ্বিক প্রপঞ্চে পরিণত হবে সেই সময়ে এটা ভাবা যায়নি কি করে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান এবং উপাদানগুলোকে ব্যবহার করেই এমনকি সংগঠিত গণতন্ত্রে ক্ষয়ের সূচনা হবে।

যে সব দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, গণতন্ত্রের ক্ষয় হয়েছে সে সব দেশে উদ্ভদ হয়েছে এমন এক শাসনব্যবস্থা যেগুলো নাগরিকের অধিকারকে সংকুচিত করেছে, রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, গণমাধ্যমের ওপরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে প্রচলিত স্বৈরতন্ত্র অতীতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করত, সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করত সেখানে নতুন ব্যবস্থা সীমিত আকারে এগুলো বহাল রাখে এটা দেখানোর জন্য যে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়নি’। এই নতুন ব্যবস্থায় নির্বাহী বিভাগের হাতেই ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ ঘটে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত সারভাইভেল নামের একটি একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এরিকা ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর দেখান যে, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যতগুলো দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, যাকে লেখকরা বলছেন ‘অথরিটারিয়ানাইজেশন’- ‘স্বৈরতন্ত্রীকরণ’ তার প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র তৈরি করেছে (ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর, ‘দ্য এভ্যুলেশন অব অটোক্রেসি : হোয়াই অথরিটারিয়ানইজম ইজ বিকামিং মোর ফরমিডেবল, সারভাইভেল, ভলিউম ৫৯, সংখ্যা ৫, ২০১৭)। এ ধরনের শাসকদের এখন এখন ‘নব্য-স্বৈরাচারী’ বলেই চিহ্নিত করা হয়। ফ্রিডম হাউস কর্তৃক ২০১৭ সালে প্রকাশিত আর্চ পাডিংটনের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এদের ‘মডার্ন অথরিটারিয়ান’ বলে চিহ্নিত করেছে (ফ্রিডম হাউস, ‘ব্রেকিং ডাউন ডেমোক্রেসি : গোলস, স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড মেথডস অব মডার্ন অথরিটারিয়ান,’ জুন ২০১৭)। 

এই নতুন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের যে দৃশ্যমান বিষয়গুলো টিকিয়ে রাখা হয় তার মধ্যে আছে নিয়মিত নির্বাচনের আয়োজন; কিন্তু সেসব নির্বাচন গণতন্ত্রের উপাদান হয় না, গণতন্ত্রায়নের জন্য এসব নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র বিষয়ক গবেষকদের অন্যতম আন্ড্রিয়াস শ্যাডলার ২০০২ সালে প্রকাশিত এক লেখায় বলেছিলেন যে এই ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়ে ওঠে ‘কর্তৃত্ববাদের ইনস্ট্রুমেন্ট’ সহজ করে বললে স্বৈরতন্ত্রের অস্ত্র। এই লেখা প্রকাশের পর আঠারো বছর পার হয়েছে এবং এ সময়ে আমরা দেখেছি দেশে দেশে কীভাবে নব্য-স্বৈরতন্ত্রীরা নির্বাচনকে তাঁদের ক্ষমতা সংহত করার কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন কেবল নয় হাইব্রিড রেজিম এবং তার নেতারা এর বাইরেও এমন সব ব্যবস্থা নেন যেগুলো আগের যে কোনো প্রথাসিদ্ধ স্বৈরতন্ত্রীদের থেকে ভিন্ন। তার কিছু কিছু দিক এমন যে সেগুলো বুদ্ধিজীবীদের সুস্পষ্ট ভূমিকা দাবি করে।

গণতন্ত্রের লেবাসে যে সব হাইব্রিড রেজিমের উত্থান ঘটেছে কিংবা যে সব দেশে কার্যত নব্য-স্বৈরতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে সেই সব ক্ষেত্রে আমরা দেখেতে পাচ্ছি আত্মপরিচয়ের রাজনীতি বা আইডেন্টিটি পলিটিক্সের বিস্তার। আত্মপরিচয়ের রাজনীতি, এসব ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদের। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বলেন, ‘মেইক এমেরিকা গ্রেট এগেইন’ তখন তার ভিতরে একাদিক্রমে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ এবং খ্রিস্টান ধর্মের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী এন্ড্রু হোয়াইটহেড, স্যামুয়েল পেরি এবং জোসেফ বেকার ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে তার বিস্তারিত আলোচনা করে দেখিয়েছিলেন তার শিকড় কত গভীরে (‘মেইক আমেরিকা ক্রিশ্চিয়ান এগেইন : ক্রিশ্চিয়ান ন্যাশনালিজম অ্যান্ড ভোটিং ফর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন দ্য ২০১৬ প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন, স্যোশিওলজি অব রিলিজিয়ন, ভলিউম ৭৯, সংখ্যা ২, সামার, ২০১৮)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যখন বলেন, ‘রাশিয়া আপ ফ্রম ইটস নি’ (হাঁটুভাঙা অবস্থা থেকে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে) কিংবা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান যখন ‘ইউরোপকে ইউরোপীয়দের জন্য সুরক্ষার করতে হবে’ এই কথা বলেন তখন তাঁরা এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদের কথাই বলেন, এগুলো শুধু যে নিজের পরিচয়ের প্রশ্নের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, এগুলো সমাজে বিষাক্ত বিভক্তি তৈরি করে, তৈরি করে ঘৃণা। দেশপ্রেমের নামে, জাতীয়তাবাদের নামে এই ঘৃণা এমন এক মানসিক গঠন তৈরি করে যার তুলনা হতে পারে কেবল নাৎসিবাদের সঙ্গে। এই ধরনের ঘৃণা- তা দেশের ভিতর বা বাইরের যার বিরুদ্ধেই উদ্গীরণ করা হোক না কেন তা হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্ববাদিতার লক্ষণ, এগুলো অসহিষ্ণুতা তৈরি করে, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো হুমকি, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো বিপজ্জনক। কেননা এগুলোর আড়ালেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, বিরোধিতা হয়ে ওঠে অপরাধ- একেই বলে ভিন্নমতের অপরাধায়ন ক্রিমিনাইলেজেশন অব ডিসেন্ট। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকরা গত কয়েক বছরে যতই গণতন্ত্রে থেকে সরে গেছে ততই তারা এই পথ অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশেও এই প্রবণতা দৃশ্যমান।

নতুন স্বৈরচারীদের আরেক হাতিয়ার হচ্ছে ইতিহাস। লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে ইতিহাস নিয়ে এই নতুন শাসকদের রয়েছে অবসেশন; প্রচলিত বাংলায় অবসেশনকে ‘ঘোর’ বলা হলেও এটি তার চেয়েও বেশি। রাশিয়া এবং হাঙ্গেরির ঘটনাপ্রবাহ যারা লক্ষ্য করেছেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন কীভাবে ইতিহাসের একটি ভাষ্য তৈরি করা হচ্ছে, কীভাবে সরকারের এই ভাষ্যকে রক্ষার করার জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীনরা ইতিহাসের গেরুয়াকরণের এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ ইতিহাসের কোনো একটি পাঠ নেই। ইতিহাসের পুনঃপাঠই হচ্ছে ইতিহাসকে বোঝা এবং তা থেকে জানার উপায়। কিন্তু যখন ইতিহাসের একটি পাঠকে সরকারিভাবে একমাত্র পাঠে পরিণত করা হয়, তখন ইতিহাসের মৃত্যু ঘটে। এগুলো ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই শুধু করা হয় তা নয়, এগুলোকে ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি করারও একটি প্রক্রিয়া। এগুলোই বুদ্ধিজীবীর জন্য চিন্তার পথ বন্ধ করে দেওয়ার পথ; একাডেমিক এবং সাংবাদিকদের জন্য এগুলো সীমারেখা টেনে দেয়- কী বলা যাবে আর কি বলা যাবে না। আইনের পাশাপাশি সমাজের চাপের মধ্য দিয়ে, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।

গণতন্ত্রের সংকটের কালে, নতুন ধরনের স্বৈরাচারী শাসকদের এই উত্থানের সময় একজন বুদ্ধিজীবীকে এই যে জাতীয়তাবাদের নামে, সঠিক ইতিহাসের নামে, দেশপ্রেমের নামে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় সেখানে তিনি কি ভূমিকা পালন করবেন সেটাই আজকের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে একটি সমাজে একজন বুদ্ধিজীবীর, একজন চিন্তকের দায়িত্ব কী, কর্তব্য কী?

১৯৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল সেই সময়, সেই সংকটকালে একজন তরুণ লেখক বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব বিষয়ে একটি লেখা লিখেছিলেন। লেখকের নাম নোয়াম চমস্কি। তিনি লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হলো ক্ষমতাসীনদের সামনে সত্য প্রকাশ করে দেওয়া এবং তাদের মিথ্যাচারকে উন্মোচন করা। আর তা করতে গিয়ে বুদ্ধিজীবীরা বিতর্কের পথ তৈরি করেন আর বিভিন্ন নীতির পথ গড়ে দেন’ (‘দ্য রেসপন্সসিবিলিটি অব এন ইন্টেলেকচুয়াল’, দ্য নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭)। চমস্কির এই কথাগুলো যেমন ১৯৬৭ সালের জন্য প্রাসঙ্গিক ছিল, আজকের দিনেও ঠিক তেমনিভাবেই প্রাসঙ্গিক। সম্ভবত গণতন্ত্রের সংকটকালে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

যেই দেশে যে সময়েই থাকুন না কেন। একজন মানুষকে আমরা বুদ্ধিজীবী বলে বিবেচনা করব কিনা সম্ভবত তার একটা বড় মাপকাঠি হচ্ছে এটিই। এখন যে ভিত্তিগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের মর্মবাণীকে আক্রমণ করা হচ্ছে যিনি কেবল তা সমর্থনই করলেন সেই বিষবাষ্পকে সমাজের ভিতরে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুললেন তিনি আসলে কি ভূমিকা রাখলেন? ঘৃণা ঘৃণার বিস্তার করে; তা ধর্ম, জাতীয়তাবাদ বা আদর্শ যে নামেই প্রকাশিত-প্রচারিত হোক না কেন। আর তা যখন ক্ষমতাসীনের উপকরণ হয়ে পড়ে তখন তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ভারতে গত কয়েক বছরে যা ঘটছে তা থেকে সহজেই তা বোঝা যায়; দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে যে ভয়াবহ হত্যালীলা হয়েছে তা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। যে কারণে ভারতের যে বুদ্ধিজীবীরা এই ইতিহাসের গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার।

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন। তার কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বুদ্ধিজীবীর কাজ হচ্ছে ছলচাতুরী বা ডিসেপশন থেকে সত্যকে আলাদা করা। মনে রাখতে হবে, বুদ্ধিজীবিতা কোনো পেশা নয়, বুদ্ধিজীবিতা হচ্ছে একটা দায়িত্ব।

চেক ভাষার অন্যতম লেখক এবং পরে যিনি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন তার নাম ভাস্লাভ হাভেল। ভাস্লাভ হাভেল বুদ্ধিজীবীর কাজ কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের উচিত সারাক্ষণ উপদ্রব করা, দুনিয়ায় যে সব দুর্দশা আছে সেগুলোর সাক্ষ্য দেওয়া, নিজের স্বাধীনতা বজায় সব ধরনের প্রকাশ্য এবং গোপন চাপ ও কারসাজির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। তাদের উচিত বিরাজমান ব্যবস্থা নিয়ে সংশয়ী হওয়া।’ হাভেলের এই কথাগুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।

আমরা এখন এক দুঃসময়ের মধ্যে বাস করছি। পৃথিবীজুড়েই এখন গণতন্ত্রের দুর্দিন, স্বৈরাচারী শাসকদের উত্থান ঘটছে, সমাজে সহিষ্ণুতা কমছে, ভিন্নমত প্রকাশে বাধাবিঘ্ন আসছে, স্বাধীনভাবে কথা বলার জায়গা সীমিত হয়ে আসছে। এই দুঃসময়ে, গণতন্ত্রের এই সংকটে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্বের কথা আমরা স্মরণ করব এই কারণে যে, এখন তাদের আরও বেশি প্রয়োজন; তাদের আমরা এই ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেব কেননা সংকট মোকাবিলায়, এর থেকে উত্তরণে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা
শহীদ মুগ্ধকে নিয়ে ফেসবুকে ভাই স্নিগ্ধের আবেগময় স্মৃতিচারণা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা
শিশুদের মনোজগতে ভার্চুয়াল থাবা

১ ঘণ্টা আগে | অন্যান্য

শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম
শেষ হলো বিয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম

২ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
উন্নয়ন টেকসই করতে ভালো অর্থনৈতিক অনুশীলন বজায় রাখার আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস
চোটে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ফিলিপস

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ
অক্টোবরে আফগানিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড
চেলসি ছেড়ে আর্সেনালে তারকা ফরোয়ার্ড

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’
‘বিএনপি অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে’

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
জয়পুরহাটে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১
সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২
রংপুরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ২

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ
জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
সিলেটে বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নবীউল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল
রংপুর মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল
নীলফামারীতে বিএনপির মৌন মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল
রাজবাড়ীতে শহীদ গণির স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স
আবার দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
কুলাউড়া সীমান্তে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতকড়াসহ আসামির পলায়ন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী
চার গোষ্ঠী মিলে গঠন করেছে সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়াম : পিনাকী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান
যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা
ভারতের তেল শোধনাগারের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
স্বৈরাচার হাসিনাকে দেশছাড়া করা শক্তিকে আগামীতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু
বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

১৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমের প্রশংসা স্পেসএক্স'র ভাইস প্রেসিডেন্টের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম
সামনে আরেকটি লড়াই আসছে : নাহিদ ইসলাম

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল
গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র
গর্ভে থাকা অবস্থায়ই বিক্রির চুক্তি, শিশু পাচারের ভয়ংকর চিত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে
ব্যাংকিং খাত উচ্চঝুঁকিতে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের
বড় জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু বাংলাদেশের যুবাদের

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা
এমবাপ্পের বকশিশ পেয়ে বিপদে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে
রোগী নেই দেড় হাজার কোটি টাকার হাসপাতালে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান
বিএনপিতে শুদ্ধি অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক
গোপালগঞ্জজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক
কুড়িয়ে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক

পেছনের পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!
কুমিল্লায় এক খন্ড হংকং নগরীর গল্প!

শনিবারের সকাল

অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের
অপরাজিত থাকার প্রত্যাশা আফঈদাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী
এপিএসের পোষা বিড়াল যখন মন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত
বড় ধাক্কার মুখে রাজস্ব খাত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণ অভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে
জনগণের সম্মতি নিয়ে নির্বাচন করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী
আমাদের কালের মিষ্টি নায়িকা কবরী

শোবিজ

নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না
নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলবেন না

মাঠে ময়দানে

ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক
ভুটানে সাবিনা-ঋতুপর্ণার ডাবল হ্যাটট্রিক

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ
ব্যাটিংয়ে কাইলি মায়ার্স বোলিংয়ে খালেদ

মাঠে ময়দানে

যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ
যুবাদের সিরিজ জয়ের ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ
সবজি মুরগির দাম চড়া নাগালের বাইরে ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ
পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করা হচ্ছে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’
বন্ধুর স্বপ্ন পূরণে ‘আগুনের পরশমণি’

শোবিজ

গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল
গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে
ব্যাংকঋণ যাচ্ছে সরকারি বন্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন
পাঁচ চলচ্চিত্রে আফজাল হোসেন

শোবিজ

নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ
নান্দনিক নওয়াববাড়ি মসজিদ

শনিবারের সকাল

শান্তির নীড় মাটির ঘর
শান্তির নীড় মাটির ঘর

পেছনের পৃষ্ঠা

মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা
মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার
১৩ হাজারি ক্লাবে বাটলার

মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার
কক্সবাজারে অপহৃত তিন কিশোর উদ্ধার

নগর জীবন

অবসর শেষে মৎস্য খামার
অবসর শেষে মৎস্য খামার

শনিবারের সকাল

আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী
আজ জামায়াতের মহাসমাবেশ, প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই
হাসিনার সম্পদের তথ্য গোপনে করার কিছু নেই

প্রথম পৃষ্ঠা