শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

আলী রীয়াজ, ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন।

 

পৃথিবীজুড়ে এখন গণতন্ত্রের সংকট চলছে। যারা গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে, প্রকৃতি ও পরিসর বিষয়ে গবেষণা করেন তাঁদের লেখায় গত এক দশক ধরেই এ কথা পুনঃপুনঃ বলা হয়েছে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করেন তাঁদের দেওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে, আমরা যে সময়ে বাস করছি তা আসলে গণতন্ত্রের যুগ নয়। এই দুঃসময়ে একজন বুদ্ধিজীবীর কাজ কি? তিনি কী করবেন? একটি সমাজের অগ্রবর্তী অংশ হিসেবে চিন্তকের ভূমিকা কি হবে সেই প্রশ্নটি উঠছে কেননা যে কোনো সময়ের চেয়ে আজকে তাঁর ভূমিকা আরও বেশি প্রয়োজনীয়, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভূমিকার আলোচনা করতে হলে বোঝা দরকার বিরাজমান সংকটের রূপ কি, তার বৈশিষ্ট্য কি।

বৈশ্বিকভাবে গণতন্ত্রের এই সংকটের ব্যাপ্তিটা বোঝা যায় প্রাপ্ত তথ্য থেকেই। ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে প্রতি বছর যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার সর্বশেষটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত ১৩ বছর ধরে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের বিষয়ে তাঁদের সংগৃহীত তথ্যের বিবেচনায় ২০১৯ সালে ছিল সবচেয়ে খারাপ বছর। গত বছর কোনো গণতান্ত্রিক দেশের অকস্মাৎ নাটকীয় পতনের ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের যে ক্রমাগত ক্ষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি তারই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে এখন মোট জনসংখ্যার ছয় শতাংশের কম নাগরিক সম্পূর্ণ গণতন্ত্র ভোগ করেন। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশে বসবাস করেন ৪২ দশমিক ৭ শতাংশে; সব মিলে ৪৮ শতাংশ মানুষের আছে সম্পূর্ণ বা আংশিক গণতান্ত্রিক অধিকার। যার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন গণতন্ত্রের অধিকার বঞ্চিত। অবস্থার কতটা অবনতি হয়েছে সেটা বোঝার জন্য এই তথ্য মনে রাখা দরকার যে, ২০১৪ সালের হিসাবে বলা হয়েছিল সারা পৃথিবীর ১১৫টি দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র ভোগ করছেন।

সংকটের এই মাত্রা কেবল বৈশ্বিক নয়। বাংলাদেশে গত এক দশকে যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাকে ক্ষমতাসীনরা যদিও দাবি করেন ‘গণতন্ত্র’ বলে কিন্তু তাঁকে আমার বড়জোর হাইব্রিড রেজিম বা দো-আঁশলা ব্যবস্থা বলতে পারি। এই ধরনের ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো দৃশ্যত গণতান্ত্রিক অর্থাৎ এগুলোতে গণতন্ত্রের কিছু কিছু উপাদান উপস্থিত থাকে; কিন্তু মর্মবস্তুর দিক থেকে এগুলো হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি, উপর্যুপরিভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ, সংবিধানের পরিবর্তন এবং বিষাক্ত মেরুকরণের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য যে অশনিসংকেত বহন করছিল তা ২০১৩ সালেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল (আলী রীয়াজ, ‘ভঙ্গুর গণতন্ত্র থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসন?’, প্রথম আলো, ১৮ নভেম্বর ২০১৩)। গত সাত বছর বাংলাদেশের রাজনীতি এবং শাসন ব্যবস্থার যাত্রা সেই অভিমুখেই হয়েছে। এই ধরনের হাইব্রিড শাসনের আওতায় আছে পৃথিবীর ৩৭টি দেশ- বৈশ্বিক জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ। অতীতে সারা দুনিয়াজুড়ে গণতন্ত্রের উল্টো যাত্রার ঘটনা ঘটেছে দুই দফায়- ১৯২২ থেকে ১৯৪২ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৫। কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিস্তার করেনি যেখানে গণতন্ত্রের দৃশ্যমান উপাদানগুলো বহাল রেখেই কর্তৃত্ববাদী শাসনের জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে গত কয়েক দশকে। নব্বই দশকের সূচনায় যখন আশা করা হয়েছিল যে গণতন্ত্র এক বৈশ্বিক প্রপঞ্চে পরিণত হবে সেই সময়ে এটা ভাবা যায়নি কি করে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান এবং উপাদানগুলোকে ব্যবহার করেই এমনকি সংগঠিত গণতন্ত্রে ক্ষয়ের সূচনা হবে।

যে সব দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, গণতন্ত্রের ক্ষয় হয়েছে সে সব দেশে উদ্ভদ হয়েছে এমন এক শাসনব্যবস্থা যেগুলো নাগরিকের অধিকারকে সংকুচিত করেছে, রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, গণমাধ্যমের ওপরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে প্রচলিত স্বৈরতন্ত্র অতীতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করত, সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করত সেখানে নতুন ব্যবস্থা সীমিত আকারে এগুলো বহাল রাখে এটা দেখানোর জন্য যে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়নি’। এই নতুন ব্যবস্থায় নির্বাহী বিভাগের হাতেই ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ ঘটে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত সারভাইভেল নামের একটি একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এরিকা ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর দেখান যে, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যতগুলো দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, যাকে লেখকরা বলছেন ‘অথরিটারিয়ানাইজেশন’- ‘স্বৈরতন্ত্রীকরণ’ তার প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র তৈরি করেছে (ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর, ‘দ্য এভ্যুলেশন অব অটোক্রেসি : হোয়াই অথরিটারিয়ানইজম ইজ বিকামিং মোর ফরমিডেবল, সারভাইভেল, ভলিউম ৫৯, সংখ্যা ৫, ২০১৭)। এ ধরনের শাসকদের এখন এখন ‘নব্য-স্বৈরাচারী’ বলেই চিহ্নিত করা হয়। ফ্রিডম হাউস কর্তৃক ২০১৭ সালে প্রকাশিত আর্চ পাডিংটনের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এদের ‘মডার্ন অথরিটারিয়ান’ বলে চিহ্নিত করেছে (ফ্রিডম হাউস, ‘ব্রেকিং ডাউন ডেমোক্রেসি : গোলস, স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড মেথডস অব মডার্ন অথরিটারিয়ান,’ জুন ২০১৭)। 

এই নতুন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের যে দৃশ্যমান বিষয়গুলো টিকিয়ে রাখা হয় তার মধ্যে আছে নিয়মিত নির্বাচনের আয়োজন; কিন্তু সেসব নির্বাচন গণতন্ত্রের উপাদান হয় না, গণতন্ত্রায়নের জন্য এসব নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র বিষয়ক গবেষকদের অন্যতম আন্ড্রিয়াস শ্যাডলার ২০০২ সালে প্রকাশিত এক লেখায় বলেছিলেন যে এই ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়ে ওঠে ‘কর্তৃত্ববাদের ইনস্ট্রুমেন্ট’ সহজ করে বললে স্বৈরতন্ত্রের অস্ত্র। এই লেখা প্রকাশের পর আঠারো বছর পার হয়েছে এবং এ সময়ে আমরা দেখেছি দেশে দেশে কীভাবে নব্য-স্বৈরতন্ত্রীরা নির্বাচনকে তাঁদের ক্ষমতা সংহত করার কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন কেবল নয় হাইব্রিড রেজিম এবং তার নেতারা এর বাইরেও এমন সব ব্যবস্থা নেন যেগুলো আগের যে কোনো প্রথাসিদ্ধ স্বৈরতন্ত্রীদের থেকে ভিন্ন। তার কিছু কিছু দিক এমন যে সেগুলো বুদ্ধিজীবীদের সুস্পষ্ট ভূমিকা দাবি করে।

গণতন্ত্রের লেবাসে যে সব হাইব্রিড রেজিমের উত্থান ঘটেছে কিংবা যে সব দেশে কার্যত নব্য-স্বৈরতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে সেই সব ক্ষেত্রে আমরা দেখেতে পাচ্ছি আত্মপরিচয়ের রাজনীতি বা আইডেন্টিটি পলিটিক্সের বিস্তার। আত্মপরিচয়ের রাজনীতি, এসব ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদের। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বলেন, ‘মেইক এমেরিকা গ্রেট এগেইন’ তখন তার ভিতরে একাদিক্রমে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ এবং খ্রিস্টান ধর্মের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী এন্ড্রু হোয়াইটহেড, স্যামুয়েল পেরি এবং জোসেফ বেকার ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে তার বিস্তারিত আলোচনা করে দেখিয়েছিলেন তার শিকড় কত গভীরে (‘মেইক আমেরিকা ক্রিশ্চিয়ান এগেইন : ক্রিশ্চিয়ান ন্যাশনালিজম অ্যান্ড ভোটিং ফর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন দ্য ২০১৬ প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন, স্যোশিওলজি অব রিলিজিয়ন, ভলিউম ৭৯, সংখ্যা ২, সামার, ২০১৮)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যখন বলেন, ‘রাশিয়া আপ ফ্রম ইটস নি’ (হাঁটুভাঙা অবস্থা থেকে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে) কিংবা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান যখন ‘ইউরোপকে ইউরোপীয়দের জন্য সুরক্ষার করতে হবে’ এই কথা বলেন তখন তাঁরা এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদের কথাই বলেন, এগুলো শুধু যে নিজের পরিচয়ের প্রশ্নের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, এগুলো সমাজে বিষাক্ত বিভক্তি তৈরি করে, তৈরি করে ঘৃণা। দেশপ্রেমের নামে, জাতীয়তাবাদের নামে এই ঘৃণা এমন এক মানসিক গঠন তৈরি করে যার তুলনা হতে পারে কেবল নাৎসিবাদের সঙ্গে। এই ধরনের ঘৃণা- তা দেশের ভিতর বা বাইরের যার বিরুদ্ধেই উদ্গীরণ করা হোক না কেন তা হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্ববাদিতার লক্ষণ, এগুলো অসহিষ্ণুতা তৈরি করে, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো হুমকি, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো বিপজ্জনক। কেননা এগুলোর আড়ালেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, বিরোধিতা হয়ে ওঠে অপরাধ- একেই বলে ভিন্নমতের অপরাধায়ন ক্রিমিনাইলেজেশন অব ডিসেন্ট। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকরা গত কয়েক বছরে যতই গণতন্ত্রে থেকে সরে গেছে ততই তারা এই পথ অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশেও এই প্রবণতা দৃশ্যমান।

নতুন স্বৈরচারীদের আরেক হাতিয়ার হচ্ছে ইতিহাস। লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে ইতিহাস নিয়ে এই নতুন শাসকদের রয়েছে অবসেশন; প্রচলিত বাংলায় অবসেশনকে ‘ঘোর’ বলা হলেও এটি তার চেয়েও বেশি। রাশিয়া এবং হাঙ্গেরির ঘটনাপ্রবাহ যারা লক্ষ্য করেছেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন কীভাবে ইতিহাসের একটি ভাষ্য তৈরি করা হচ্ছে, কীভাবে সরকারের এই ভাষ্যকে রক্ষার করার জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীনরা ইতিহাসের গেরুয়াকরণের এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ ইতিহাসের কোনো একটি পাঠ নেই। ইতিহাসের পুনঃপাঠই হচ্ছে ইতিহাসকে বোঝা এবং তা থেকে জানার উপায়। কিন্তু যখন ইতিহাসের একটি পাঠকে সরকারিভাবে একমাত্র পাঠে পরিণত করা হয়, তখন ইতিহাসের মৃত্যু ঘটে। এগুলো ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই শুধু করা হয় তা নয়, এগুলোকে ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি করারও একটি প্রক্রিয়া। এগুলোই বুদ্ধিজীবীর জন্য চিন্তার পথ বন্ধ করে দেওয়ার পথ; একাডেমিক এবং সাংবাদিকদের জন্য এগুলো সীমারেখা টেনে দেয়- কী বলা যাবে আর কি বলা যাবে না। আইনের পাশাপাশি সমাজের চাপের মধ্য দিয়ে, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।

গণতন্ত্রের সংকটের কালে, নতুন ধরনের স্বৈরাচারী শাসকদের এই উত্থানের সময় একজন বুদ্ধিজীবীকে এই যে জাতীয়তাবাদের নামে, সঠিক ইতিহাসের নামে, দেশপ্রেমের নামে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় সেখানে তিনি কি ভূমিকা পালন করবেন সেটাই আজকের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে একটি সমাজে একজন বুদ্ধিজীবীর, একজন চিন্তকের দায়িত্ব কী, কর্তব্য কী?

১৯৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল সেই সময়, সেই সংকটকালে একজন তরুণ লেখক বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব বিষয়ে একটি লেখা লিখেছিলেন। লেখকের নাম নোয়াম চমস্কি। তিনি লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হলো ক্ষমতাসীনদের সামনে সত্য প্রকাশ করে দেওয়া এবং তাদের মিথ্যাচারকে উন্মোচন করা। আর তা করতে গিয়ে বুদ্ধিজীবীরা বিতর্কের পথ তৈরি করেন আর বিভিন্ন নীতির পথ গড়ে দেন’ (‘দ্য রেসপন্সসিবিলিটি অব এন ইন্টেলেকচুয়াল’, দ্য নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭)। চমস্কির এই কথাগুলো যেমন ১৯৬৭ সালের জন্য প্রাসঙ্গিক ছিল, আজকের দিনেও ঠিক তেমনিভাবেই প্রাসঙ্গিক। সম্ভবত গণতন্ত্রের সংকটকালে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

যেই দেশে যে সময়েই থাকুন না কেন। একজন মানুষকে আমরা বুদ্ধিজীবী বলে বিবেচনা করব কিনা সম্ভবত তার একটা বড় মাপকাঠি হচ্ছে এটিই। এখন যে ভিত্তিগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের মর্মবাণীকে আক্রমণ করা হচ্ছে যিনি কেবল তা সমর্থনই করলেন সেই বিষবাষ্পকে সমাজের ভিতরে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুললেন তিনি আসলে কি ভূমিকা রাখলেন? ঘৃণা ঘৃণার বিস্তার করে; তা ধর্ম, জাতীয়তাবাদ বা আদর্শ যে নামেই প্রকাশিত-প্রচারিত হোক না কেন। আর তা যখন ক্ষমতাসীনের উপকরণ হয়ে পড়ে তখন তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ভারতে গত কয়েক বছরে যা ঘটছে তা থেকে সহজেই তা বোঝা যায়; দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে যে ভয়াবহ হত্যালীলা হয়েছে তা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। যে কারণে ভারতের যে বুদ্ধিজীবীরা এই ইতিহাসের গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার।

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন। তার কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বুদ্ধিজীবীর কাজ হচ্ছে ছলচাতুরী বা ডিসেপশন থেকে সত্যকে আলাদা করা। মনে রাখতে হবে, বুদ্ধিজীবিতা কোনো পেশা নয়, বুদ্ধিজীবিতা হচ্ছে একটা দায়িত্ব।

চেক ভাষার অন্যতম লেখক এবং পরে যিনি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন তার নাম ভাস্লাভ হাভেল। ভাস্লাভ হাভেল বুদ্ধিজীবীর কাজ কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের উচিত সারাক্ষণ উপদ্রব করা, দুনিয়ায় যে সব দুর্দশা আছে সেগুলোর সাক্ষ্য দেওয়া, নিজের স্বাধীনতা বজায় সব ধরনের প্রকাশ্য এবং গোপন চাপ ও কারসাজির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। তাদের উচিত বিরাজমান ব্যবস্থা নিয়ে সংশয়ী হওয়া।’ হাভেলের এই কথাগুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।

আমরা এখন এক দুঃসময়ের মধ্যে বাস করছি। পৃথিবীজুড়েই এখন গণতন্ত্রের দুর্দিন, স্বৈরাচারী শাসকদের উত্থান ঘটছে, সমাজে সহিষ্ণুতা কমছে, ভিন্নমত প্রকাশে বাধাবিঘ্ন আসছে, স্বাধীনভাবে কথা বলার জায়গা সীমিত হয়ে আসছে। এই দুঃসময়ে, গণতন্ত্রের এই সংকটে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্বের কথা আমরা স্মরণ করব এই কারণে যে, এখন তাদের আরও বেশি প্রয়োজন; তাদের আমরা এই ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেব কেননা সংকট মোকাবিলায়, এর থেকে উত্তরণে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা