শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ আপডেট:

গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

আলী রীয়াজ, ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র
প্রিন্ট ভার্সন
গণতন্ত্রের সংকটকালে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব কি?

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন।

 

পৃথিবীজুড়ে এখন গণতন্ত্রের সংকট চলছে। যারা গণতন্ত্রের বিভিন্ন দিক নিয়ে, প্রকৃতি ও পরিসর বিষয়ে গবেষণা করেন তাঁদের লেখায় গত এক দশক ধরেই এ কথা পুনঃপুনঃ বলা হয়েছে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করেন তাঁদের দেওয়া তথ্য প্রমাণ করে যে, আমরা যে সময়ে বাস করছি তা আসলে গণতন্ত্রের যুগ নয়। এই দুঃসময়ে একজন বুদ্ধিজীবীর কাজ কি? তিনি কী করবেন? একটি সমাজের অগ্রবর্তী অংশ হিসেবে চিন্তকের ভূমিকা কি হবে সেই প্রশ্নটি উঠছে কেননা যে কোনো সময়ের চেয়ে আজকে তাঁর ভূমিকা আরও বেশি প্রয়োজনীয়, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভূমিকার আলোচনা করতে হলে বোঝা দরকার বিরাজমান সংকটের রূপ কি, তার বৈশিষ্ট্য কি।

বৈশ্বিকভাবে গণতন্ত্রের এই সংকটের ব্যাপ্তিটা বোঝা যায় প্রাপ্ত তথ্য থেকেই। ইকোনমিক ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গণতন্ত্রের অবস্থা বিষয়ে প্রতি বছর যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তার সর্বশেষটি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গত ১৩ বছর ধরে সারা পৃথিবীর গণতন্ত্রের বিষয়ে তাঁদের সংগৃহীত তথ্যের বিবেচনায় ২০১৯ সালে ছিল সবচেয়ে খারাপ বছর। গত বছর কোনো গণতান্ত্রিক দেশের অকস্মাৎ নাটকীয় পতনের ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু তা সত্ত্বেও গণতন্ত্রের যে ক্রমাগত ক্ষয় আমরা দেখতে পাচ্ছি তারই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে এখন মোট জনসংখ্যার ছয় শতাংশের কম নাগরিক সম্পূর্ণ গণতন্ত্র ভোগ করেন। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশে বসবাস করেন ৪২ দশমিক ৭ শতাংশে; সব মিলে ৪৮ শতাংশ মানুষের আছে সম্পূর্ণ বা আংশিক গণতান্ত্রিক অধিকার। যার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন গণতন্ত্রের অধিকার বঞ্চিত। অবস্থার কতটা অবনতি হয়েছে সেটা বোঝার জন্য এই তথ্য মনে রাখা দরকার যে, ২০১৪ সালের হিসাবে বলা হয়েছিল সারা পৃথিবীর ১১৫টি দেশে ৬৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র ভোগ করছেন।

সংকটের এই মাত্রা কেবল বৈশ্বিক নয়। বাংলাদেশে গত এক দশকে যে শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তাকে ক্ষমতাসীনরা যদিও দাবি করেন ‘গণতন্ত্র’ বলে কিন্তু তাঁকে আমার বড়জোর হাইব্রিড রেজিম বা দো-আঁশলা ব্যবস্থা বলতে পারি। এই ধরনের ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো দৃশ্যত গণতান্ত্রিক অর্থাৎ এগুলোতে গণতন্ত্রের কিছু কিছু উপাদান উপস্থিত থাকে; কিন্তু মর্মবস্তুর দিক থেকে এগুলো হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অনুপস্থিতি, উপর্যুপরিভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ, সংবিধানের পরিবর্তন এবং বিষাক্ত মেরুকরণের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য যে অশনিসংকেত বহন করছিল তা ২০১৩ সালেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল (আলী রীয়াজ, ‘ভঙ্গুর গণতন্ত্র থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসন?’, প্রথম আলো, ১৮ নভেম্বর ২০১৩)। গত সাত বছর বাংলাদেশের রাজনীতি এবং শাসন ব্যবস্থার যাত্রা সেই অভিমুখেই হয়েছে। এই ধরনের হাইব্রিড শাসনের আওতায় আছে পৃথিবীর ৩৭টি দেশ- বৈশ্বিক জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ। অতীতে সারা দুনিয়াজুড়ে গণতন্ত্রের উল্টো যাত্রার ঘটনা ঘটেছে দুই দফায়- ১৯২২ থেকে ১৯৪২ এবং ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৫। কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে এই ধরনের ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে বিস্তার করেনি যেখানে গণতন্ত্রের দৃশ্যমান উপাদানগুলো বহাল রেখেই কর্তৃত্ববাদী শাসনের জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে গত কয়েক দশকে। নব্বই দশকের সূচনায় যখন আশা করা হয়েছিল যে গণতন্ত্র এক বৈশ্বিক প্রপঞ্চে পরিণত হবে সেই সময়ে এটা ভাবা যায়নি কি করে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান এবং উপাদানগুলোকে ব্যবহার করেই এমনকি সংগঠিত গণতন্ত্রে ক্ষয়ের সূচনা হবে।

যে সব দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, গণতন্ত্রের ক্ষয় হয়েছে সে সব দেশে উদ্ভদ হয়েছে এমন এক শাসনব্যবস্থা যেগুলো নাগরিকের অধিকারকে সংকুচিত করেছে, রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, গণমাধ্যমের ওপরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে প্রচলিত স্বৈরতন্ত্র অতীতে রাজনীতি নিষিদ্ধ করত, সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করত সেখানে নতুন ব্যবস্থা সীমিত আকারে এগুলো বহাল রাখে এটা দেখানোর জন্য যে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়নি’। এই নতুন ব্যবস্থায় নির্বাহী বিভাগের হাতেই ক্ষমতার এককেন্দ্রীকরণ ঘটে। ২০১৭ সালে প্রকাশিত সারভাইভেল নামের একটি একাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে এরিকা ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর দেখান যে, ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যতগুলো দেশে গণতন্ত্রের পশ্চাৎযাত্রা হয়েছে, যাকে লেখকরা বলছেন ‘অথরিটারিয়ানাইজেশন’- ‘স্বৈরতন্ত্রীকরণ’ তার প্রায় ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র তৈরি করেছে (ফ্রাঞ্জৎ এবং আন্ড্রিয়া কেন্ডাল-টেলর, ‘দ্য এভ্যুলেশন অব অটোক্রেসি : হোয়াই অথরিটারিয়ানইজম ইজ বিকামিং মোর ফরমিডেবল, সারভাইভেল, ভলিউম ৫৯, সংখ্যা ৫, ২০১৭)। এ ধরনের শাসকদের এখন এখন ‘নব্য-স্বৈরাচারী’ বলেই চিহ্নিত করা হয়। ফ্রিডম হাউস কর্তৃক ২০১৭ সালে প্রকাশিত আর্চ পাডিংটনের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এদের ‘মডার্ন অথরিটারিয়ান’ বলে চিহ্নিত করেছে (ফ্রিডম হাউস, ‘ব্রেকিং ডাউন ডেমোক্রেসি : গোলস, স্ট্রাটেজিস অ্যান্ড মেথডস অব মডার্ন অথরিটারিয়ান,’ জুন ২০১৭)। 

এই নতুন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের যে দৃশ্যমান বিষয়গুলো টিকিয়ে রাখা হয় তার মধ্যে আছে নিয়মিত নির্বাচনের আয়োজন; কিন্তু সেসব নির্বাচন গণতন্ত্রের উপাদান হয় না, গণতন্ত্রায়নের জন্য এসব নির্বাচন নয়। গণতন্ত্র বিষয়ক গবেষকদের অন্যতম আন্ড্রিয়াস শ্যাডলার ২০০২ সালে প্রকাশিত এক লেখায় বলেছিলেন যে এই ধরনের ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়ে ওঠে ‘কর্তৃত্ববাদের ইনস্ট্রুমেন্ট’ সহজ করে বললে স্বৈরতন্ত্রের অস্ত্র। এই লেখা প্রকাশের পর আঠারো বছর পার হয়েছে এবং এ সময়ে আমরা দেখেছি দেশে দেশে কীভাবে নব্য-স্বৈরতন্ত্রীরা নির্বাচনকে তাঁদের ক্ষমতা সংহত করার কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু সাংবিধানিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন কেবল নয় হাইব্রিড রেজিম এবং তার নেতারা এর বাইরেও এমন সব ব্যবস্থা নেন যেগুলো আগের যে কোনো প্রথাসিদ্ধ স্বৈরতন্ত্রীদের থেকে ভিন্ন। তার কিছু কিছু দিক এমন যে সেগুলো বুদ্ধিজীবীদের সুস্পষ্ট ভূমিকা দাবি করে।

গণতন্ত্রের লেবাসে যে সব হাইব্রিড রেজিমের উত্থান ঘটেছে কিংবা যে সব দেশে কার্যত নব্য-স্বৈরতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে সেই সব ক্ষেত্রে আমরা দেখেতে পাচ্ছি আত্মপরিচয়ের রাজনীতি বা আইডেন্টিটি পলিটিক্সের বিস্তার। আত্মপরিচয়ের রাজনীতি, এসব ক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে উগ্র জাতীয়তাবাদের। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বলেন, ‘মেইক এমেরিকা গ্রেট এগেইন’ তখন তার ভিতরে একাদিক্রমে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ এবং খ্রিস্টান ধর্মের সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। সমাজবিজ্ঞানী এন্ড্রু হোয়াইটহেড, স্যামুয়েল পেরি এবং জোসেফ বেকার ২০১৮ সালে প্রকাশিত প্রবন্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে তার বিস্তারিত আলোচনা করে দেখিয়েছিলেন তার শিকড় কত গভীরে (‘মেইক আমেরিকা ক্রিশ্চিয়ান এগেইন : ক্রিশ্চিয়ান ন্যাশনালিজম অ্যান্ড ভোটিং ফর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইন দ্য ২০১৬ প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন, স্যোশিওলজি অব রিলিজিয়ন, ভলিউম ৭৯, সংখ্যা ২, সামার, ২০১৮)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যখন বলেন, ‘রাশিয়া আপ ফ্রম ইটস নি’ (হাঁটুভাঙা অবস্থা থেকে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে) কিংবা হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান যখন ‘ইউরোপকে ইউরোপীয়দের জন্য সুরক্ষার করতে হবে’ এই কথা বলেন তখন তাঁরা এক ধরনের উগ্র জাতীয়তাবাদের কথাই বলেন, এগুলো শুধু যে নিজের পরিচয়ের প্রশ্নের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, এগুলো সমাজে বিষাক্ত বিভক্তি তৈরি করে, তৈরি করে ঘৃণা। দেশপ্রেমের নামে, জাতীয়তাবাদের নামে এই ঘৃণা এমন এক মানসিক গঠন তৈরি করে যার তুলনা হতে পারে কেবল নাৎসিবাদের সঙ্গে। এই ধরনের ঘৃণা- তা দেশের ভিতর বা বাইরের যার বিরুদ্ধেই উদ্গীরণ করা হোক না কেন তা হচ্ছে শ্রেষ্ঠত্ববাদিতার লক্ষণ, এগুলো অসহিষ্ণুতা তৈরি করে, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো হুমকি, গণতন্ত্রের জন্য এগুলো বিপজ্জনক। কেননা এগুলোর আড়ালেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়, বিরোধিতা হয়ে ওঠে অপরাধ- একেই বলে ভিন্নমতের অপরাধায়ন ক্রিমিনাইলেজেশন অব ডিসেন্ট। ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকরা গত কয়েক বছরে যতই গণতন্ত্রে থেকে সরে গেছে ততই তারা এই পথ অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশেও এই প্রবণতা দৃশ্যমান।

নতুন স্বৈরচারীদের আরেক হাতিয়ার হচ্ছে ইতিহাস। লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে ইতিহাস নিয়ে এই নতুন শাসকদের রয়েছে অবসেশন; প্রচলিত বাংলায় অবসেশনকে ‘ঘোর’ বলা হলেও এটি তার চেয়েও বেশি। রাশিয়া এবং হাঙ্গেরির ঘটনাপ্রবাহ যারা লক্ষ্য করেছেন তারা নিশ্চয় দেখেছেন কীভাবে ইতিহাসের একটি ভাষ্য তৈরি করা হচ্ছে, কীভাবে সরকারের এই ভাষ্যকে রক্ষার করার জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। ভারতের ক্ষমতাসীনরা ইতিহাসের গেরুয়াকরণের এক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। অথচ ইতিহাসের কোনো একটি পাঠ নেই। ইতিহাসের পুনঃপাঠই হচ্ছে ইতিহাসকে বোঝা এবং তা থেকে জানার উপায়। কিন্তু যখন ইতিহাসের একটি পাঠকে সরকারিভাবে একমাত্র পাঠে পরিণত করা হয়, তখন ইতিহাসের মৃত্যু ঘটে। এগুলো ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই শুধু করা হয় তা নয়, এগুলোকে ক্ষমতাকে দীর্ঘমেয়াদি করারও একটি প্রক্রিয়া। এগুলোই বুদ্ধিজীবীর জন্য চিন্তার পথ বন্ধ করে দেওয়ার পথ; একাডেমিক এবং সাংবাদিকদের জন্য এগুলো সীমারেখা টেনে দেয়- কী বলা যাবে আর কি বলা যাবে না। আইনের পাশাপাশি সমাজের চাপের মধ্য দিয়ে, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে।

গণতন্ত্রের সংকটের কালে, নতুন ধরনের স্বৈরাচারী শাসকদের এই উত্থানের সময় একজন বুদ্ধিজীবীকে এই যে জাতীয়তাবাদের নামে, সঠিক ইতিহাসের নামে, দেশপ্রেমের নামে সীমা বেঁধে দেওয়া হয় সেখানে তিনি কি ভূমিকা পালন করবেন সেটাই আজকের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের প্রশ্ন করতে হবে একটি সমাজে একজন বুদ্ধিজীবীর, একজন চিন্তকের দায়িত্ব কী, কর্তব্য কী?

১৯৬৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছিল সেই সময়, সেই সংকটকালে একজন তরুণ লেখক বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব বিষয়ে একটি লেখা লিখেছিলেন। লেখকের নাম নোয়াম চমস্কি। তিনি লিখেছিলেন, ‘বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হলো ক্ষমতাসীনদের সামনে সত্য প্রকাশ করে দেওয়া এবং তাদের মিথ্যাচারকে উন্মোচন করা। আর তা করতে গিয়ে বুদ্ধিজীবীরা বিতর্কের পথ তৈরি করেন আর বিভিন্ন নীতির পথ গড়ে দেন’ (‘দ্য রেসপন্সসিবিলিটি অব এন ইন্টেলেকচুয়াল’, দ্য নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭)। চমস্কির এই কথাগুলো যেমন ১৯৬৭ সালের জন্য প্রাসঙ্গিক ছিল, আজকের দিনেও ঠিক তেমনিভাবেই প্রাসঙ্গিক। সম্ভবত গণতন্ত্রের সংকটকালে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।

যেই দেশে যে সময়েই থাকুন না কেন। একজন মানুষকে আমরা বুদ্ধিজীবী বলে বিবেচনা করব কিনা সম্ভবত তার একটা বড় মাপকাঠি হচ্ছে এটিই। এখন যে ভিত্তিগুলোর ওপরে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের মর্মবাণীকে আক্রমণ করা হচ্ছে যিনি কেবল তা সমর্থনই করলেন সেই বিষবাষ্পকে সমাজের ভিতরে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুললেন তিনি আসলে কি ভূমিকা রাখলেন? ঘৃণা ঘৃণার বিস্তার করে; তা ধর্ম, জাতীয়তাবাদ বা আদর্শ যে নামেই প্রকাশিত-প্রচারিত হোক না কেন। আর তা যখন ক্ষমতাসীনের উপকরণ হয়ে পড়ে তখন তা আরও বেশি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ভারতে গত কয়েক বছরে যা ঘটছে তা থেকে সহজেই তা বোঝা যায়; দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসে যে ভয়াবহ হত্যালীলা হয়েছে তা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। যে কারণে ভারতের যে বুদ্ধিজীবীরা এই ইতিহাসের গেরুয়াকরণের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন তাদের দিকে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার।

চমস্কি বলেছিলেন, বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব হচ্ছে সত্যের ওপরে জোর দেওয়া, কিন্তু এটাও তাদের দায়িত্ব যেন তারা সেই সত্যকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করেন। তার কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বুদ্ধিজীবীর কাজ হচ্ছে ছলচাতুরী বা ডিসেপশন থেকে সত্যকে আলাদা করা। মনে রাখতে হবে, বুদ্ধিজীবিতা কোনো পেশা নয়, বুদ্ধিজীবিতা হচ্ছে একটা দায়িত্ব।

চেক ভাষার অন্যতম লেখক এবং পরে যিনি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলেন তার নাম ভাস্লাভ হাভেল। ভাস্লাভ হাভেল বুদ্ধিজীবীর কাজ কি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের উচিত সারাক্ষণ উপদ্রব করা, দুনিয়ায় যে সব দুর্দশা আছে সেগুলোর সাক্ষ্য দেওয়া, নিজের স্বাধীনতা বজায় সব ধরনের প্রকাশ্য এবং গোপন চাপ ও কারসাজির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা। তাদের উচিত বিরাজমান ব্যবস্থা নিয়ে সংশয়ী হওয়া।’ হাভেলের এই কথাগুলো আমাদের মনে রাখা দরকার।

আমরা এখন এক দুঃসময়ের মধ্যে বাস করছি। পৃথিবীজুড়েই এখন গণতন্ত্রের দুর্দিন, স্বৈরাচারী শাসকদের উত্থান ঘটছে, সমাজে সহিষ্ণুতা কমছে, ভিন্নমত প্রকাশে বাধাবিঘ্ন আসছে, স্বাধীনভাবে কথা বলার জায়গা সীমিত হয়ে আসছে। এই দুঃসময়ে, গণতন্ত্রের এই সংকটে বুদ্ধিজীবীর দায়িত্বের কথা আমরা স্মরণ করব এই কারণে যে, এখন তাদের আরও বেশি প্রয়োজন; তাদের আমরা এই ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেব কেননা সংকট মোকাবিলায়, এর থেকে উত্তরণে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

২ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

২০ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব
সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব

২৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ