মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিলেট নগরে সুপেয় পানির কষ্ট

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট নগরে সুপেয় পানির কষ্ট

সিলেট নগরীর খাবার পানির চাহিদার অর্ধেকও সরবরাহ করতে পারছে না সিটি করপোরেশন (সিসিক)। করপোরেশন প্রতিষ্ঠার দেড় দশক পার হলেও এখনো পানি সরবরাহের আওতায় আসেনি দক্ষিণ সুরমার ৩টি ওয়ার্ড। পানি সংকট নিরসনে কুশিঘাট এলাকায় ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বৃহৎ শোধনাগার নির্মিত হলেও এখনো সেটি বুঝে পায়নি সিটি করপোরেশন। এটি চালু হলে নগরীর পানির চাহিদা আরও কিছুটা পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট নগরীর ১০ লাখ মানুষের প্রতিদিনের পানির চাহিদা ৮ কোটি লিটার। সিটি করপোরেশন সরবরাহ করতে পারছে মাত্র ৪ কোটি লিটার। পানির চাহিদা বাড়লেও বাড়ছে না উৎপাদন। ২০০৯ সালে সুরমা নদীর তীরবর্তী কুশিঘাট এলাকায় বৃহৎ একটি শোধনাগারের কাজ শুরু হলেও ৮ বছরেও সেটি

উৎপাদনে যেতে পারেনি। ফলে যেসব এলাকায় সরবরাহ লাইন রয়েছে সেসব এলাকায়ও নিয়মিত পানি দিতে পারছে না করপোরেশন। বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ। নগরীর কাজীটুলার সেলিম আহমদ বলেন, সিটি করপোরেশনের বিল নিয়মিত নিলেও আমরা নিয়মিত পানি পাই না। কখনো কখনো টানা দু-তিন দিন পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ থাকে না। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড এখনো রয়ে গেছে পানি সরবরাহ প্রকল্পের বাইরে। নির্বাচনের সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই তিন ওয়ার্ডে পানি সরবরাহের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বলেন, অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী ওয়াদা ছিল দক্ষিণ সুরমায় পানি সংকট দূর করবেন। সে লক্ষ্যে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনো চালু হয়নি।

সিসিক সূত্র জানায়, কুশিঘাটে নির্মিত পানি শোধনাগারটি সিটি করপোরেশনকে এখনো বুঝিয়ে দেয়নি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। শোধনাগারটি চালু হলে বর্ধিত পানির চাহিদা পূরণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, যে পানি শোধানাগার হচ্ছে, এটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর নির্মাণ করছে। কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু আমাদের এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ খবর