মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সরগরম ঈদবাজার

রেজা মোজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে সরগরম ঈদবাজার

চট্টগ্রামের ছোট বড় অর্ধশত মার্কেটে ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে চলছে ক্রেতাদের ভিড়। অভিজাত মার্কেটগুলোতেও এখন ক্রেতা সমাগমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। অভিজাত মার্কেটের সঙ্গে সঙ্গে ফুটপাথগুলোও এখন সরব হয়ে উঠেছে। ফুটপাথেও সমানে চলছে বিকিকিনি। ফলে এখন ফুটপাথ থেকে অভিজাত মার্কেট- সর্বত্রই ক্রেতা-বিক্রেতায় একাকার। সবখানেই উপচে পড়া ভিড়।             

কার্যত ১০ রমজানের পর থেকেই ফুটপাথ ও অভিজাত মার্কেটগুলো জমে উঠতে শুরু করে।  ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নগরের বিভিন্ন বিপণিবিতানে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সকাল থেকে মধ্য রাত অবধি চলছে ক্রয়-বিক্রয়। ঈদ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগমের হারও লক্ষণীয়। একই সঙ্গে বেড়েছে ফুটপাথের ব্যবসাও।

নগরের স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট এলাকা, কোতোয়ালি, জুবিলি রোড, আন্দরকিল্লা, টেরিবাজার, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, বাদামতল, মুরাদপুর, বহদ্দার হাটসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশেই আছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অসংখ্য ভাসমান দোকান। এসব দোকানে সকাল-বিকাল ক্রেতার ভিড় দেখা যায়। টেরিবাজারের এক ক্রেতা কফিল উদ্দিন বলেন, ‘ভাসমান দোকানগুলোতেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যায়। দামেও সুলভ।’ স্টেশন রোডের হকার আহমেদ রুবেল বলেন, ‘ছোট আকারের দোকান হলেও নানা রঙের ও ডিজাইনের পোশাক এখানে রাখা হয়েছে। ক্রেতারাও আগ্রহভরে কিনছেন।’

অন্যদিকে নগরের অভিজাত মার্কেটগুলোতেও এখন উপচে পড়া ভিড়। আড়ং, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, টেরিবাজার, বিপণিবিতান, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, সানমার ওশ্যান সিটি, সিটি সেন্টার, ফিনলে সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, লাকী প্লাজা, আখতারুজ্জামান সেন্টার, মতি টাওয়ার, মতি কমপ্লেক্স, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিয়ামসহ নগরের মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। গত শনিবার রাত ২টায় টেরিবাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে ক্রেতার ভিড়। বাজারের প্রধান সড়কটিতে এক দৃষ্টিতে তাকালে দেখা যায়, সব মানুষের মাথা আর মাথা। মানুষের ভিড়ে আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। অভিন্ন চিত্র রিয়াজ উদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট ও হকার মার্কেটেরও।      

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক  সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, টেরিবাজারে শবেবরাতের পর থেকেই রমজানের বিকিকিনি শুরু হয়। শুরুর দিকে থান কাপড় ও পিস কাপড় বিক্রি হলেও   এখন গার্মেন্টের নানা বর্ণিল পোশাক বিক্রি হচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত এ ক্রয় বিক্রয় চলবে। আশা করি, সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে এখান থেকে ঈদ বাজার করে বাড়ি ফিরতে পারবেন। ব্যবসায়ীরাও করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর