মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পলিথিন সংগ্রহ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পলিথিন সংগ্রহ

চট্টগ্রাম নগরে দিনে প্রায় ৩ টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ৮.৮ শতাংশই প্লাস্টিক ও পলিথিন। উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্যরে অল্প কিছু পুনর্ব্যবহার হয়। বড় অংশ নালা-নর্দমা, খাল-বিল, নিচু এলাকা ও আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই নগরে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। 

এবার পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক-পলিথিনসহ কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সহায়তা এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা ও ইউনিলিভারের উদ্যোগে এ কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে ইপসার ছয় শতাধিক বর্জ্য সংগ্রাহক কাজ করছেন। দিনে জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। গত জুনে শুরু হওয়া কার্যক্রমে সেপ্টেম্বর থেকে ৪১টি ওয়ার্ডে কাজ শুরু হয়েছে। 

চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, বেসরকারি দুটি সংস্থা বাসা থেকে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করছে। এর মাধ্যমে নগরের জলাবদ্ধতা অনেকটা কমে আসবে, শহরের পরিবেশ রক্ষা পাবে।    

প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহে ইপসার ফোকালপারসন আবদুস সবুর বলেন, রিসাইকেল বাজারে কিছু ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্যরে মূল্য আছে। কিছু প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল ব্যয় সাপেক্ষ। বর্জ্য সংগ্রহকারীরা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (পলিথিন) সংগ্রহ করেন না। এটি হালকা, ময়লাযুক্ত, দাম কম। তাদের ধারণা হালকা, পলিথিনের রিসাইকেল মূল্য নেই। এসব হালকা পলিথিনের শেষ গন্তব্য হয় খাল, নদী ও সাগর। শহরে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রিসাইকেলাররা অধিক পরিমাণে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে সক্ষম। কিন্তু এখানে সে পরিমাণে জোগান নেই। এসব পরিত্যক্ত, অব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক সংগ্রহ করে রিসাইকেলারদের কাছে পৌঁছানো হলে অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত পলিথিন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে। এর মাধ্যমে প্লাস্টিক-পলিথিন সংগ্রহের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে লাভবান হবে। জানা যায়, এ প্রকল্পে বর্তমানে ৬৯টি ভাঙারি ওয়ালা আছে, যাদের কাছে বর্জ্য সংগ্রহকারীরা প্লাস্টিক বর্জ্য বিক্রি করেন। পরে ভাঙারি ওয়ালারা কেনা প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো চট্টগ্রাম ও ঢাকায় রিসাইকেলারদের কাছে বিক্রি করে। বর্তমানে ৫০ জনের মতো রিসাইকেলার এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত হয়ে লবণের ঘেরের কালো পলিথিন, জুতার সুল্ড, প্লাস্টিকদানা, পোলট্রি খামারে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী, পানির মগ, বালতি, বদনা ইত্যাদি উৎপাদন হয়।

সর্বশেষ খবর