মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

দুর্ভোগের অন্ত নেই বাড্ডায়

হাসান ইমন

দুর্ভোগের অন্ত নেই বাড্ডায়

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড। ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়ক ভাঙাচোরা। কয়েকটি সড়কের কিছু অংশ সব সময় ড্রেনের পানিতে তলিয়ে থাকে। সড়কে ম্যানহোল নষ্ট থাকায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে দোকানপাট। সামান্য বৃষ্টিতে অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এর সঙ্গে আছে মশার উৎপাত। ওয়ার্ডে নেই খেলার মাঠ, নেই কোনো সরকারি কমিউনিটি সেন্টার। মেরুল বাড্ডা, দক্ষিণ, মধ্য ও উত্তর বাড্ডা নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। বাড্ডার পোস্ট অফিস গলির অবস্থা একেবারে করুণ। সড়ক এবড়োখেবড়ো। একটু পর পর ছোট-বড় গর্ত। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ম্যানহোলগুলো নষ্ট। মধ্যবাড্ডা বাজার গলির বেহাল অবস্থা। অধিকাংশ সড়ক ভাঙ্গাচোড়া। কোথাও স্ল্যাব নেই, কোথাও ম্যানহোল নেই। এই সড়কে যাতায়াতকারী রিকশা ও অটোরিকশা প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ছে। কয়েকটি স্থান ড্রেনের ময়লা পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ম্যানহোল দিয়ে এসব ময়লা পানি বের হয়। সড়কটি পানিতে তলিয়ে থাকায় ম্যানহোল দেখা যায় না। এসব স্থানে দুর্ঘটনা ঘটছে। এই সড়কে চলাচলকারী মুদি দোকানি ইসমাইল বলেন, এই রোডটি গত ১০ বছরে সংস্কার হতে দেখিনি। এই সড়কে রিকশায় যাতায়াত করি না। রিকশার ঝাঁকুনিতে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। একই অবস্থা ডিআইটি প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোড।

এ রোডের মাছের আড়তের সামনে বিশাল গর্ত রয়েছে। গর্ত থাকায় প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ বড় গাড়ি চলতে পারে না। সড়কের কিছু অংশে সবসময় পানি জমে থাকে। একই অবস্থা ব্যাপারী পাড়া গলিরও। এ ছাড়াও মেরুল বাড্ডা বাসস্ট্যান্ড থেকে উত্তর বাড্ডা গুপীপাড়া পর্যন্ত প্রগতি সরণির প্রায় ২ কিলোমিটার অংশে দুই পাশের ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট।

২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গনি বলেন, করোনার সময় আমরা কাজ করার কোনো বাজেট পাইনি। গত অর্থবছরে কিছু বাজেট পেয়েছি, সেগুলো দিয়ে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। এবারও তেমন কিছু পাইনি। এরপরও টুকটাক কিছু কাজ হচ্ছে। আগামী বাজেটে বরাদ্দ পেলে এসব সমস্যা সমাধান হবে। তিনি বলেন, বাজার গলির ড্রেনের লাইন নষ্ট। করপোরেশনকে জানিয়েছি, তারা ঠিক করে দেবে।

সর্বশেষ খবর