রংপুর নগরীর বৃহত্তম সিটি বাজারে ২০ হাজার মানুষের জন্য শৌচাগার রয়েছে চারটি। সেগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। এসব শৌচাগারে নেই সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। আবার নারী ও পুরুষের জন্যও একই শৌচাগার। বাজারটি রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) পরিচালনা করছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিনেও সিটি বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বাজার সৃষ্টির পর আটটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়। যুগ যুগ ধরে সেসব শৌচাগারেই চলে আসছে। ২০১২ সালে সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ক্রেতার পাশাপাশি সিটি বাজারে ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বর্তমানে বাজারে দোকানঘর রয়েছে হাজারের মতো। কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ এখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কার্যক্রম আছে। প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার ক্রেতা আসেন কেনাকাটার জন্য। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগম হয় এখানে। আটটি শৌচাগারের মধ্যে চারটি ব্যবহার অনুপযোগী। বাকি চারটির অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক।
সিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দফতর সম্পাদক রাজিব উদ্দিন লিটন জানান, শৌচাগারে যেতে না পেরে অনেক ক্রেতা সমিতির কাছে কষ্টের কথা জানায়। বর্ষাকালে ভারী বর্ষণ হলে হাঁটু পানি জমে শৌচাগারের আশপাশে। সেই সময় শৌচাগার ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
সিটি বাজারে আসা আনিমা বেগম জানান, তিনি কেনাকাটা করতে সিটি বাজারে আসেন। বেহাল শৌচাগারে গেলে অপেক্ষায় থাকতে হয়।
সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মনজু জানান, রসিকের স্টাফ দ্বারা সিটি বাজারের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে মেয়র উন্নয়ন কাজে হাত দিয়েছেন। প্রথমে শৌচাগারের কাজ শুরু করা হয়। আধুনিক মানের ১৮টি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এসব শৌচাগার শুধুই উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে।