ভারী বর্ষণ হলেই রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু এলাকায় হাঁটুপানি জমে। অল্প সময়ের মধ্যে সেই পানি নেমে গেলেও সাময়িক দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। আর এ সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে সমাধানে কর্মকৌশল নির্ধারণসহ স্থায়ী নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ভারী বর্ষণ হলেই মহানগরীর অন্তত ১৭টি পয়েন্টে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই পয়েন্টগুলো নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে রাসিক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নগরীর কলাবাগান, হেতেম খাঁ, ঝাউতলা, উপশহর, লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, কাদিরগঞ্জ, টিকাপাড়া, হড়গ্রামসহ বেশ কিছু এলাকার রাস্তা হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। এর ফলে সাময়িক দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন মহানগরবাসী। নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন পথচারীরাও।
সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম জানান, মহানগরীতে জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ কিছু মানুষের অসচেতনতা। এসব মানুষ নিজেদের নিত্যদিনের ময়লা ড্রেনে ফেলেন। ওই ময়লা ড্রেনে জমে পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। মহানগরীজুড়ে বড় বড় ভবন তৈরি হচ্ছে। পাইলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। অনেকেই পাইলিংয়ের মাটি ড্রেনে ফেলছেন। এই মাটি অনেকটা শক্ত ও জমাটবদ্ধ। যেখানে পড়ে সেখানে জমে থাকে। রাসিক সূত্র জানায়, মহানগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২০ বছরব্যাপী মাস্টারপ্ল্যান ছিল। সেখানে সরকার তিন মেয়াদে অর্থ বরাদ্দ দেয়। প্রায় ১৫০ কোটি টাকার মাস্টারপ্ল্যানের মেয়াদ ছিল ২০২০ পর্যন্ত। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে গত বছর ও এ বছর ড্রেনের কাদামাটি উত্তোলনের কাজ হয়েছে। মধ্যে প্রায় ১০ বছর এ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ কারণে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনগুলো পরিষ্কারে গুরুত্ব দিয়েছে রাসিক।
রাসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু জানান, ভারী বর্ষণে মহানগরীর নিম্নাঞ্চলে অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। মহানগরীর কলাবাগান এলাকায় সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতা হয়। এখান থেকে মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে লক্ষ্মীপুর ঝাউতলা এলাকায় সমস্যা কিছুটা বেশি। সেখানে ড্রেনের কাদামাটি অপসারণসহ ড্রেন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে। এর সুফল আগামী বছর থেকে পাওয়া যাবে।