নারায়ণগঞ্জ শহরে অবৈধ পন্থায় প্রায় ২ হাজার অটোরিকশা প্রবেশ করেছে। এ প্রবেশ সুবিধায় জেলার তিনটি সিন্ডিকেটের সমন্বয়ে কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কতিপয় অসাধু পুলিশ, কিছু নামধারী প্রেস স্টিকার ও অটো গ্যারেজ মালিকের সমন্বয়ে এই টাকা বাটোয়ারা হচ্ছে।
শহরের মধ্যে অটোরিকশা প্রবেশে দেওয়া হচ্ছে ৪ ধরনের চাবির রিং ও কার্ড। রিং বা কার্ড পাওয়া অটোরিকশা শহরে প্রবেশে পাচ্ছে বিশেষ সুবিধা। অটোরিকশা নিধন অভিযানে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের। আর যেসব অটো রিকশায় এসব রিং বা কার্ড সুবিধা নেই, সেগুলো আটকা পড়ছে অবৈধ অটো রিকশা হিসেবে। জানা গেছে, এই চার ধরনের রিং সুবিধায় শহরে প্রবেশাধিকার পাওয়া প্রায় ২ হাজার অটোরিকশাই এখন শহরের যানজট সমস্যার মূল।
অভিযোগ অনুযায়ী, যেসব অটোরিকশার মালিকপক্ষ কিংবা চালকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে তাদের দেওয়া হয় কার্ড কিংবা চাবির রিং। এ জন্য প্রতিটি বড় অটোরিকশাকে প্রতি মাসে এককালীন ২ হাজার টাকা গুনতে হয়। মিশুককে দিতে হয় প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা। এ ছাড়াও বেশ কিছু অটোরিকশায় লাগানো থাকে নামসর্বস্ব পত্রিকার স্টিকার।
এককালীন ও মাসিক টাকা ভাগ হচ্ছে দুই ভাগে। কার্ড কিংবা চাবির রিং চালকদের কাছে থাকলে ওইসব অটোরিকশা ও মিশুককে ট্রাফিক পুলিশ আটকায় না। যেসব অটোরিকশা কিংবা মিশুকের কার্ড কিংবা চাবির রিং থাকে না তাদের আটকে নেওয়া হয় চাষাঢ়ার পুলিশ ফাঁড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ডে।
সেখানে তাদের আটকে কমপক্ষে ১১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দেড় শ অটোরিকশা আটক করে তাদের কাছ থেকে জরিমানার নামে টাকা আদায় করা হয়। যানজটের কারণ হিসেবে সাধারণ পথচারীরা বলেন, ‘হঠাৎ করে শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মিশুক বেড়ে গেছে। এগুলো যত্রতত্র পার্কিং ও চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর (টিআই) আবদুল করিম জানান, বিভিন্ন সময় আমরাও শুনতে পাই চাবির রিং বা কার্ড দিয়ে একটি চক্র অটোরিকশা শহরের প্রবেশ করাচ্ছে বা চাঁদাবাজি করছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তাদের আটক করতে পারিনি।