চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দার হাট মোড়ে অন্তত ছয়টি সড়ক সংযোগ হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়তই লেগে থাকে যানবাহনের জটলা। পথচারীদের পারাপার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। বিশেষ করে বৃদ্ধ শিশু, মহিলা ও শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। ঘটে দুর্ঘটনা। তবে এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বহদ্দারহাট মোড়ে নগরের প্রথম আন্ডারপাস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে নকশা। চলছে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। দেওয়া হয়েছে কার্যাদেশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। নগরের বহদ্দারহাট পুলিশ বক্সের সামনে একটি এবং এর সোজা আরাকান সড়কের উত্তর পাশে আরেকটি প্রবেশপথ থাকবে আন্ডারপাসটির। থাকবে আধুনিক সব সুবিধা।
জানা যায়, বহদ্দারহাট মোড়ে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে হাজারের বেশি লোক রাস্তা পারাপার করেন। কয়েকটি সড়কের সংযোগ থাকায় এ মোড়ে গাড়ির চাপও বেশি। রাস্তা পারাপারকারীদের সব সময় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের এ ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনায় পথচারীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। এমন অবস্থায় আন্ডারপাস নির্মাণ হলে দুর্ঘটনা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে রাস্তা পারাপার করতে পারবেন পথচারীরা। চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আন্ডারপাসটি পথচারী পারাপারে নিরাপদ ব্যবস্থা হবে। এখানে বিদেশের আদলে কিছু হকার বসার ব্যবস্থা থাকবে। আন্ডারপাসটি হলে সড়কের ওপরের সৌন্দর্য ঠিক থাকবে। সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলাও আসবে।
চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, বহদ্দারহাটের আন্ডারপাসটি হবে দেশের প্রথম স্কেলেটরযুক্ত আন্ডারপাস। মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার সুবিধা থাকবে এখানে। প্রতিবন্ধী, শিশু এবং বয়স্কদের সুবিধার্থে স্কেলেটর দেওয়া হচ্ছে। আন্ডারপাসটি নির্মিত হবে চসিকের নিজস্ব অর্থায়নে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, আন্ডারপাসটি হবে ৪১ দশমিক ২ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ মিটার প্রশস্ত। উচ্চতা ৪ মিটার। দুই প্রবেশ মুখে দুটি সিঁড়ি এবং দুটি স্কেলেটরও থাকবে। আন্ডারপাসের ভিতর হকার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে দুই পাশে ১০টি করে ২০টি দোকান থাকবে। মাঝখানে মানুষের হাঁটার জন্য সাড়ে ৪ মিটার (প্রায় ১৫ ফুট) জায়গা থাকবে। জলাবদ্ধতায় পানি প্রবেশরোধে আন্ডারপাসের প্রবেশমুখ হবে ক্যানোপি আকৃতির। কোনো কারণে পানি ঢুকলে নিষ্কাশনে থাকবে দুটি পাম্প।