রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বেশ প্রাচীন। তবে এই পন্থায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে থাকা চাই সঠিক পদ্ধতি মেনে রূপচর্চা। আর একটু ধৈর্য। প্রাকৃতিক উপায়ে যত্নের রয়েছে বেশ কয়েকটি ধাপ। এর মধ্যে ক্লিনজিং, ম্যাসাজ, স্ক্রাবিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

স্টাইলক্রেজের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক রূপচর্চায় ঘরোয়া মাস্ক অত্যন্ত উপকারী। এই ফেস মাস্কের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- এটা ত্বকের ধরন ও অবস্থা অনুযায়ী তৈরি করে নেওয়া যায়। ত্বক শুষ্ক, তৈলাক্ত, মিশ্র, ব্রণ প্রবণ, উন্মুক্ত লোমকূপ, ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেড্স ইত্যাদি যে কোনো সমস্যা দূর করতে ঘরে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার কার্যকর। জেনে নিন ত্বকের ধরন বুঝে কয়েকটি ফেস মাস্ক তৈরির পদ্ধতি...

শুষ্ক ত্বকের মাস্ক

শুষ্ক ত্বকে মধু খুব ভালো কাজ করে। এর প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান ত্বকের মলিনতা কমায়। শীতকালে যাদের ত্বকের শুষ্কতাজনিত সমস্যা দেখা দেয় তাদের জন্য মধুর মাস্ক খুব ভালো কাজ করে। মধু ও দুধের মিশ্রণ এ ক্ষেত্রে খুব ভালো। কাঁচা দুধ দ্রুত ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়। মিশ্রণটি দুই ফোঁটা যে কোনো এসেনশল অয়েল এবং এক চামচ মধু ও অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

তৈলাক্ত ত্বকের পাথেয়

অনেকেই জানেন না, বেইকিং সোডা বাড়তি তেল দূর করার পাশাপাশি ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেড্স দূর করতে সাহায্য করে। এক টেবিলচামচ করে পানি ও বেইকিং সোডা নিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করে মুখে মেখে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মাস্ক লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। তবে অতিরিক্ত সময় এই মাস্ক ত্বকে রাখা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

মিশ্র ত্বকে সেরা

ডিমের সাদা অংশ মিশ্র ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটা নাক ও কপালের উন্মুক্ত লোমকূপ বন্ধ করতে সাহায্য করে। আর তেল নিয়ন্ত্রণ করে। মুখমণ্ডলের ‘টি-জোন’-এর তৈলাক্ততা কমাতে এই মাস্ক কার্যকর। ডিমের সাদা অংশ লোমকূপের ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ব্ল্যাক হেড্স ও ব্রণ কমাতে সহায়তা করে। ডিমের মাস্ক তৈরি করতে এর সাদা অংশ, মধু ও এক টেবিলচামচ কমলার রস একটা পাত্রে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। চাইলে এতে এক চা-চামচ হলুদও যোগ করা যায়। মাস্ক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করার পরে শুকানোর জন্য ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মনে রাখতে হবে, মাস্কগুলো ত্বকের সমস্যা সমাধানে ভীষণ কার্যকরী। তবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে অবশ্যই তা এড়িয়ে চলুন।

লিখেছেন : নূরজাহান জেবিন