চুলের স্বাস্থ্য কেবল বাহ্যিক যত্নের ওপর নির্ভর করে না; বরং শরীরের ভিতরও অত্যন্ত জরুরি। মসৃণ, ঘন ও মজবুত চুল পেতে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে, প্রক্রিয়াজাত খাবারের ঝামেলা এড়িয়ে সরাসরি পুষ্টি পেতে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর জুসও একটি কার্যকর উপায়।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরাধী গাজর-শসার পানীয়
► চারটি গাজর, একটি আপেল, একটি শসা, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং সামান্য পানি মেশান।
► উপকারিতা : এই জুস বিটা-ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ স্ক্যাল্পকে আর্দ্র ও কন্ডিশনড রাখে। হেয়ার ফলিকল সুস্থ, ঘন ও মজবুত করে। অন্যদিকে, শসা (পটাসিয়াম, সিলিকা, ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ) চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং উচ্চ জলীয় উপাদান চুল ও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। আর আপেল হজমে সহায়তা করে দ্রুত পুষ্টি শোষণ নিশ্চিত করে।
অ্যান্টি-এজিং লাইকোপেন বুস্টার
► চারটি গাজর, দুটি টমেটো, একটি শসা এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস।
► উপকারিতা : এটি মূলত গাজর-শসার পুষ্টির সঙ্গে লাইকোপেন যোগ করে। টমেটো থেকে আসা লাইকোপেন এক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা চুলের কোষকে রক্ষা করে এবং এটিকে অ্যান্টি-এজিং মিশ্রণে পরিণত করে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে বিটরুটের মিশ্রণ
► চারটি গাজর, একটি শসা, একটি ছোট বিটরুট এবং খোসাসহ লেবুর এক চতুর্থাংশ।
► উপকারিতা : বিটরুট রক্ত পরিশোধক হিসেবে পরিচিত এবং এটি পাকস্থলীর কার্যকারিতা উন্নত করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছায়। এটি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য প্রয়োজনীয় বহু পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে।
প্রোটিন উদ্দীপক স্ট্রবেরি ব্লাস্ট
► বারোটি তাজা স্ট্রবেরি, দুটি গাজর, একটি শসা এবং একটি লাল আপেল।
► উপকারিতা : স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হেয়ার গ্রোথে সহায়তা করে। প্রোটিন উৎপাদনের পাশাপাশি চুলের প্রোটিন গঠনকে উদ্দীপিত করে, ফলে চুল হয় আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
এ ছাড়াও মজবুত চুলের জন্য পেয়ারা গাজর এবং সবুজ আপেলের জুস পান করতে পারেন। এমনকি হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে ধনেপাতা ও শসার পানীয়ও পান করতে পারেন।