রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বেকারির অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য

বেকারির অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য

রাজধানীর যত্রতত্র গড়ে উঠেছে শত শত বেকারি কারখানা। কালি-ঝুলি মাখা প্রতিটি কারখানার ভিতরে-বাইরে কাদাপানি, তরল ময়লা-আবর্জনাযুক্ত নোংরা পরিবেশ। দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। আশপাশেই নর্দমা, ময়লার স্তূপ। মশা, মাছির ভনভন আর একাধিক কাঁচা-পাকা টয়লেটের অবস্থান। কারখানাগুলো স্থাপিত হয়েছে টিনশেড বিল্ডিংয়ে। বহু পুরনো চালার টিনগুলো স্থানে স্থানে ছিদ্র থাকায় বৃষ্টির পানি অনায়াসেই কারখানা ঘরে ঢুকে। এতে পিচ্ছিল কর্দমাক্ত হয়ে থাকে মেঝে, কাদাপানি ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় খাদ্য-সামগ্রীতে। কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নেই, দম বন্ধ হওয়া গরম থাকে রাত-দিন। গরমে ঘামে চুপসানো অবস্থায় খালি গায়ে বেকারি শ্রমিকরা আটা-ময়দা দলাই-মথাই করে। সেখানেই তৈরি হয় ব্রেড, বিস্কুট, কেকসহ নানা লোভনীয় খাদ্যপণ্য।

অভিযোগ রয়েছে, উৎপাদন ব্যয় কমাতে এসব বেকারির খাদ্যপণ্যে ভেজাল আটা, ময়দা, ডালডা, তেল, পচা ডিমসহ নিম্নমানের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। কেক ও ব্রেড তৈরির জন্য সেখানে পিপারমেন্ট, সোডা ও বেকিং পাউডার রাখা রয়েছে পাশাপাশি। কারখানা ঘেঁষা একটি ছোট্ট ফেনা ওঠে যাওয়া ঘোলাটে পামঅয়েল তেল, ডিম ও ডালডার মিশ্রণ তৈরি হচ্ছে। বেকারি কারখানায় উৎপাদিত খাদ্যপণ্য সতেজ রাখতে ট্যালো, ফ্যাটি এসিড ও ইমিউসাইল্টিং, টেঙ্টাইল রংসহ নানা কেমিক্যালও ব্যবহার করতে দেখা যায়। আশপাশের কারখানাগুলোতে দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে ভেজাল আটা, ময়দা, ডালডা, তেল ও পচা ডিম। বেকারিতে পচা ডিম ব্যবহার যেন সাধারণ বিষয়।

 

 

সর্বশেষ খবর