রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

মুড়িতে ইউরিয়া

মুড়িতে ইউরিয়া

এখানেও ঢুকে পড়েছে ভেজালের বিষবাষ্প। বারোতোপায় দেদার আসছে ইউরিয়া সার। লবণের বদলে মেশানো হচ্ছে সেই ইউরিয়া। কারখানায় ভাজা মুড়ির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আড়তদারদের প্ররোচনায় গ্রামের সহজ-সরল বউ-ঝিরাও মুড়িতে মেশাচ্ছেন এই বিষ। প্রতিযোগিতার বাজারে মুড়িকে লম্বা, সাদা ফাঁপানো ও আকর্ষণীয় করতে মুড়ি বেপারি এবং আড়তদাররা শ্রমিকদের সার সরবরাহ করছেন। তাদের প্ররোচনায় না বুঝে ঘরে ঘরে মুড়ি শ্রমিকরা লবণের বদলে চালে ইউরিয়া মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করছেন। মুড়ি ভাজার চালের সঙ্গে বস্তায় বস্তায় ইউরিয়া। ইউরিয়া মিশ্রিত মুড়ির কুফলও জানেন না মুড়ি শ্রমিকরা। এক কেজি ইউরিয়ায় প্রায় ১৬০ কেজি মুড়ি ভাজা হয়। লবণের দাম বেশি হওয়ায় আর বেপারি-আড়তদাররাও খুশি হওয়ায় চালে এই ইউরিয়া মিশিয়েই এখন মুড়ি ভাজা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মুড়ি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাত-আট মাসের ব্যবধানে বারোতোপায় প্রায় একডজন সারের দোকানও গড়ে উঠেছে। এসব সারের ক্রেতা শুধু মুড়ি বেপারি-আড়তদার ও শ্রমিকরা।

বারোতোপায় এখন শুধু বিআর-১১ ও বিআর২৮ ধানে মুড়ি ভাজা হচ্ছে। দুই-চার বছর আগেও এখানে ঘরে ঘরে আউশ ধানের মুড়ি ভাজা হতো। ব্যবসায়ী আজিজুল জানান, বেপারি-আড়তদাররা যাচ্ছেতাই ধান কিনে দিচ্ছেন শ্রমিকদের। দরিদ্র শ্রমিকরা চালে ইউরিয়া মিশিয়ে সেই ধান থেকেই মুড়ি তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

 

 

সর্বশেষ খবর