রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ মন্দা, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হ্রাস, রাজস্ব আদায়ে ভাটা ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে দাড়াবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনটি বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। এর আগে গত নভেম্বরে অবশ্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্ভাভাস দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের শুরুতে যে সব সমস্যা ছিল সেগুলো হচ্ছে- রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, পোশাকশিল্পের ইমেজ সঙ্কট, গ্যাস সঙ্কট, পরিবহন সমস্যা, বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা ও আন্তর্জাতিক চাহিদার দুর্বলতা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেমিট্যান্স কমে যাওয়া এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। কৃষি খাতেও উৎপাদন কমেছে। এরই সমন্বিত প্রভাব পড়বে জিডিপিতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৮৬ শতাংশ) ক্ষতি হয়েছে সেবা খাতে। শিল্প খাতে ক্ষতি হয়েছে ১১ শতাংশ এবং কৃষি খাতে ৩ শতাংশ। বিদ্যুৎ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হলেও বাকি সবগুলো নিম্নমুখী। তাই এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি গত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির প্রবণতা বিশ্বের প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বেশি।
সূত্র জানায়, বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন ৭ দশমিক ২ শতাংশ। পরবর্তীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। সেটিও অর্জন অসম্ভব বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।