রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ধনী টেক জায়ান্ট

সাইফ ইমন

ধনী টেক জায়ান্ট

প্রযুক্তির জয়গান চলছে বিশ্বজুড়েই। জীবন সহজ করতে নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলো। বিশ্বব্যাপী এখন শীর্ষে রয়েছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ডগুলোই। এরাই বিশ্বে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। নতুন নতুন বাজার তৈরি করে ব্যবসায়িক দিক থেকেও সফলতা পেয়েছে। সম্প্রতি অ্যাপল তিন ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের প্রতিষ্ঠানের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।  বিশ্বের সেরা প্রযুক্তি ব্র্যান্ডগুলো নিয়েই আজকের রকমারি-

 

বিশ্বের প্রথম ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান অ্যাপল

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত টেক জায়ান্ট অ্যাপল। প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ এখন ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। ব্যক্তিগত গ্যারেজ থেকে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও সফটওয়্যার নির্মাণকারী। তবে শুরুতে প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল অ্যাপল কম্পিউটার ইন-করপোরেশন। স্টিভ জবসের এই প্রতিষ্ঠানটি পারসোনাল কম্পিউটার তৈরি করে প্রথম দিকে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ম্যাকিনটোস কম্পিউটার তৈরির মাধ্যমে এটি বেশি পরিচিতি লাভ করে। আর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্মার্টফোন আইফোন তৈরি করে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম আইওএস কোটি কোটি মানুষের পছন্দের তালিকার শীর্ষে। আইফোনের পাশাপাশি আইপড ও আইপ্যাডও জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

 

সার্চ ইঞ্জিন থেকে টেক জায়ান্ট গুগল

১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার

গুগল লিমিটেড লায়াবিলিটি কোম্পানি ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা ও পণ্যে বিশেষায়িত একটি বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির কোম্পানিটি সার্চ ইঞ্জিন থেকে পরে ইন্টারনেট ও টেক জায়ান্টে পরিণত হয়েছে। অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবা এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্যও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি ইন্টারনেটভিত্তিক বেশ কিছু সেবা ও পণ্য উন্নয়ন এবং হোস্ট করে। সাম্প্রতিক সময়ে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর সর্বশেষ গুগল গ্লাস চমক জাগিয়েছে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির ছাত্র থাকাকালীন ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন ১৯৯৮ সালে গুগল নির্মাণ করেন। গুগলের ১৪ শতাংশ শেয়ার তাদের এবং বিশেষ সুপারভোটিং ক্ষমতার মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ স্টেকহোল্ডারকে নিয়ন্ত্রণ করে। গুগল ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক।

 

সেরা ব্র্যান্ড হিসেবেই বিশ্বে পরিচিত মাইক্রোসফট

৪৫৬ বিলিয়ন ডলার

মাইক্রোসফটের সম্পদের পরিমাণ ৪৫৬ বিলিয়ন ডলার প্রায়। বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠানটি নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ প্রতিষ্ঠানটি মূলত কম্পিউটার ও প্রযুক্তি ডিভাইসের সফটওয়্যার তৈরি করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন রাজ্যের রেডমন্ড শহরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়। সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এবং মাইক্রোসফট অফিস। ডেভেলপারদের জন্য মাইক্রোসফট ভিজুয়াল স্টুডিও এবং মাইক্রোসফট এসকিউএল সার্ভার বেশ জনপ্রিয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেকটি সফটওয়্যারই ডেস্কটপ কম্পিউটার বাজারে প্রায় সর্বব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। এ ছাড়াও মাইক্রোসফট এমএসএনবিসি ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক, এমএসএন ইন্টারনেট পোর্টালের মালিক।

 

ইয়াহুকে বলা হয় ইন্টারনেট শিল্পের অগ্রদূত

৫ বিলিয়ন ডলার

একটা সময়  যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইয়াহু ছিল ইন্টারনেট শিল্পের অগ্রদূত। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ইয়াহু তার জৌলুস হারিয়েছে। তবুও প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলার। এখন নতুন করে আবার প্রতিষ্ঠানটি আলোচনায় এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানিভেল শহরে এর প্রধান কার্যালয়। ডেভিড ফিলো ও জেরি ইয়াং ইয়াহুর প্রতিষ্ঠাতা। ইয়াহুর রয়েছে ওয়েবসাইট, সার্চ ইঞ্জিন, ইয়াহু ডিকশনারি, ইয়াহু মেইল, ইয়াহু নিউজ, ইয়াহু গ্রুপ, ইয়াহু অ্যানসার, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, অনলাইন ম্যাপ, ইয়াহু ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়া সেবাসহ নানা রকম ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা। ইয়াহু বিশ্বের অন্যতম সেরা ওয়েবসাইট। ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইয়াহু চালু হলেও ইন-করপোরেটেড হয় ১৯৯৫ সালের ১ মার্চ।

 

৯৫৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান ফেসবুক

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। তবে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ফেসবুক বাই মেটা। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান-প্রদান করতে পারেন এই ফেসবুকের মাধ্যমে। গোটা বিশ্বের চিত্র ফুটে ওঠা এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৫৮ বিলিয়ন ডলার। ব্যবহারকারীরা শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চলভিত্তিক বা ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারেন এই ফেসবুকের মাধ্যমে। মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার রুমমেটদের নিয়ে যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির ব্যবহার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন গোটা বিশ্বে ফেসবুক কোটি কোটি মানুষের কাছে জনপ্রিয় মাধ্যম।

 

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার নিয়ে আইবিএম

১২০ বিলিয়ন ডলার

আইবিএম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। এটির মোট সম্পদের পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন ডলার। আইবিএম হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রস্তুত করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড মূল্য ৪ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার। আইবিএম মেইনফ্রেম কম্পিউটার থেকে ন্যানোটেকনোলজির জন্য কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, মিডলওয়্যার ও কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি, বাজারজাতকরণ এবং হোস্টিং কনসালটিং সেবা প্রদান করে। ২৫ বছর ধরে আইবিএম যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যিক প্যাটেন্টের অধিকারী আইবিএম গবেষণা সংগঠন হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। আইবিএমের আবিষ্কারগুলো হলো- অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম), পিসি, ফ্লপি ডিস্ক, হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ড, রিলেশনাল ডাটাবেজ, এসকিউএল প্রোগ্রামিং ভাষা, ইউপিসি বারকোড এবং ডায়নামিক র‌্যানডম এক্সেস মেমোরি।

 

ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠান টেসলা

বৈদ্যুতিক গাড়ি ইলেকট্র্রনিক পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠান টেসলা। ইলন মাস্কের কোম্পানিটি প্রথমবারের মতো লাভজনক হয়ে ওঠে। আর তাতেই সেটি ট্রিলিয়ন ডলারের (১০০০ বিলিয়ন) প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ফার্ম হার্টজের কাছে ১ লাখ গাড়ি বিক্রির চুক্তি করার পর টেসলার  শেয়ার বেড়েছে ১২.৬ শতাংশ। তাতেই এর বাজারমূল্য ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। একদিক থেকে অবশ্য এই মাইলফলকে পৌঁছানো প্রথম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এখন  টেসলা। এত দিন এই তালিকায় ছিল অ্যাপল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন এবং গুগলের মালিক অ্যালফাবেট। যারা ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করেন। টেসলার বাজারমূল্য এখন ভক্সওয়াগন এবং টয়োটার মতো কোম্পানিসহ বিশ্বের ৯টি বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতার সম্মিলিত বাজারমূল্যের সমান। তবুও টেসলার বার্ষিক উৎপাদনের হার অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে  বেশ কম। ২০২০ সালে প্রায় ৫ লাখ গাড়ি তৈরি করে টেসলা। এ সংখ্যাটি গাড়ি প্রস্তুতকারক অন্য কোম্পানিগুলোর তুলনায়  বেশ কম। ভক্সওয়াগন ৯.৩ মিলিয়ন, টয়োটা ৭.২ মিলিয়ন এবং রেনল্ট-নিসান-মিৎসুবিশি অ্যালায়েন্স ৬.৮ মিলিয়ন গাড়ি  তৈরি করে। তবে এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বার্ষিক বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন ইলন মাস্ক। এ ছাড়া বছরে ২০ মিলিয়ন গাড়ি তৈরির আশা করছেন তিনি। এদিকে টেসলা তাদের অটোপাইলটের সর্বশেষ আপডেটটি প্রত্যাহার করে। ৭ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন যানবাহনে রয়েছে এই সফটওয়্যার। ‘সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পন্নভাবে-ড্রাইভিং’ এর এই সফটওয়্যারটি নিয়ে অনেক ড্রাইভারই অভিযোগ করেন। এটি পুনরায় কখন প্রকাশ করা হবে তা জানায়নি টেসলা। এটি নিয়ে গবেষণার কাজ চলছে। গত বছর আগস্টে অটোপাইলট সিস্টেমে একটি আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা তদন্ত শুরু করে ইউএস ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। অন্যদিকে টেসলা ফোন অর্থাৎ পাইফোন নিয়েও মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে ফোনের জগৎ আমূল পরিবর্তন করবে পাইফোন।

 

নব্বইয়ের দশক থেকে ইনটেলের কম্পিউটার জগৎ

আমেরিকান বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি ইনটেল প্রযুক্তি খাতের আরেক জায়ান্ট। এর সম্পদের পরিমাণ ২২৩ বিলিয়ন ডলার। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। এটি মাইক্রো প্রসেসরের এক্স৮৬ সিরিজের আবিষ্কারক; যা বেশির ভাগ ডেস্কটপ কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়। ইনটেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ১৮ জুলাই। কম্পিউটার প্রসেসর তৈরির পাশাপাশি মাদারবোর্ড, চিপসেট, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কন্ট্রোলার, ইন্ট্রিগ্রেটেড সার্কিট, ফ্ল্যাস মেমোরি, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি প্রস্তুত করে কোম্পানিটি। ইনটেল ছিল প্রথম দিকের স্ট্যাটিক র‌্যাম এবং ডায়নামিক র‌্যামের স্মৃতির উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান। এটাই তাদের ব্যবসাকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত পরিচিতির মাধ্যম ছিল। প্রতিষ্ঠানটি প্রথম বাণিজ্যিক মাইক্রো প্রসেসর চিপ বানায় ১৯৭১ সালে। প্রতিষ্ঠানটি নব্বইয়ের দশকে কম্পিউটার শিল্পের চাহিদা পূরণ করে সাফল্যের সঙ্গে।

 

অ্যামাজন ডটকম দিয়েই বিশ্বের শীর্ষ ধনী

১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

অ্যামাজন ডটকম মার্কিন অনলাইনভিত্তিক বাণিজ্য কোম্পানি। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এর সদর দফতর ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে। এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস বিশ্বে বর্তমানে শীর্ষ ধনী। ঝুঁকি নিয়ে সফল হওয়ার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তিনি। তিনি এখন ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক। তাঁর ব্যবসায়িক সফলতার কারণে তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। অ্যামাজন ডটকম একটি অনলাইন বইয়ের দোকান হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। পরে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিভিডি, ভিএইচএস, সিডি, ভিডিও এবং এমপিথ্রি ডাউনলোড/স্ট্রিমিং, সফটওয়্যার, ভিডিও গেম, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক, আসবাবপত্র, খাবার, খেলনা এবং গয়না ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও বিক্রি করা শুরু করে। তারা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গোটা বিশ্বে প্রসারিত করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, জাপান, চীন, ভারত ও মেক্সিকোতে অ্যামাজনের পৃথক খুচরা ওয়েবসাইট রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর