বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভের চেয়ে বেশি সম্পদ তাদের হাতে

আবদুল কাদের

যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভের চেয়ে বেশি সম্পদ তাদের হাতে

বড় ধাক্কা খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। গেল মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে নগদ ডলারের ব্যাপক সংকট দেখা দেয়। গত মাসের শুরুতেও যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ছিল, অথচ তা ২৫ মে ৩৮ দশমিক ৮ বিলিয়নে নেমে এসেছে।  তবে এর চেয়ে বড় বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। তারা ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩১ জন ধনী ব্যবসায়ীর কাছে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রয়েছে। সহজ কথায়- যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি রিজার্ভের চেয়েও বেশি নগদ ডলার রয়েছে তাদের হাতে!

 

কারা সেই শীর্ষ ধনী

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় বরাবরই আছেন স্পেসএক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্ক, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট, মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী  স্টিভ বলমার, ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই বিন। শীর্ষ ৩০ ধনীর অনেকের নাম মার্কিন গণমাধ্যমগুলো প্রকাশ করেছে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে এসব ধনকুবের ব্যবসা-বাণিজ্য। এদের একেকজনকে বিশ্ব-বাণিজ্যের টাইকুনও বলা যায়। তাদের হাতে রয়েছে অগাধ সম্পদ। এসব ধনাঢ্য ব্যক্তির হাতে রয়েছে মার্কিন রিজার্ভের চেয়ে বেশি নগদ ডলার। আর এ খবরেই বিশ্ব তোলপাড়। তালিকার প্রথম ১০ জনের সবারই মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। তালিকায় পরবর্তী ধনী ব্যক্তিরা হলেন- জিম ওয়াল্টন, রব ওয়াল্টন, এলিস ওয়াল্টন, চার্লস কোচ, জুলিয়া কোচ ও পরিবার, মাইকেল ডেল, ফিল নাইট ও পরিবার, জন মার্স, ক্যান গ্রিফিন, ম্যাকেঞ্জি স্কট, থমাস পিটারফি এবং জিম সিমন্সসহ আরও অনেক ধনকুবের।  তালিকার নিচে থাকা এসব ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদ প্রায় ৩০ থেকে ৭৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।

 

ইলন মাস্ক

১৯৩.২ বিলিয়ন ডলার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। যদিও বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তিনি দ্বিতীয়। তবুও তিনি সবসময়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে থাকেন। বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলা, রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স এবং সামাজিক মাধ্যম কোম্পানি টুইটারের প্রধান নির্বাহী মাস্ক। রোবট, সৌরশক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও জলবায়ু তার আগ্রহের বিষয়। তার সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশ এসেছে টেসলা থেকে। এর বাইরেও আরও অনেক কোম্পানিতে রয়েছে তার বিনিয়োগ। ইলন মাস্ক এসেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তার বয়স ১৮ হওয়ার আগেই তিনি পাড়ি জমান কানাডায়। পড়াশোনা করেন অন্টারিওর কুইনস ইউনিভার্সিটিতে। এরপর যান ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ায়। সেখানে তিনি অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০০ সালে নিজের প্রতিষ্ঠিত অনলাইন ব্যাংক এক্সডটকম-এর সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠান একত্রকরণ করেন এবং প্রতিষ্ঠা করেন পেপাল। ২০০২ সালে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে এল সেগান্ডোতে প্রতিষ্ঠা করেন স্পেসএক্স।  ২০০৪ সালে তিনি টেসলায় বিনিয়োগকারী এবং চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। পরে তাকে সহ-প্রতিষ্ঠাতা পরিচয় দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। মাস্ক ২০০৮ সালে টেসলার প্রধান নির্বাহী হন। ২০২০-২১ সালে কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে।

 

জেফ বেজোস

১৪২.৯ বিলিয়ন ডলার

জেফ বেজোস ২০২১ সালে ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তবে তিনি এখনো অ্যামাজনের চেয়ারম্যান। বেজোসের ব্যক্তিগত সম্পদের বেশির ভাগই অ্যামাজনের শেয়ার; যা তার মোট সম্পদের ৯০ শতাংশ বাড়াতে অবদান রেখেছে। আর বাকি ১০ শতাংশের উৎস- স্পেস কোম্পানি ব্লু অরিজিন ও গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট। ১৯৯৪ সালে বাড়ির গ্যারেজে তিনি অ্যামাজনডটকম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৮ সালের পর তার সম্পদ বেড়েছে। করোনা সংকটেও তাঁর কোম্পানির ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে। এর আগে বেজোস নিউইয়র্কের হেজফান্ড কোম্পানি ডি. ই. শ-তে কাজ করতেন। অ্যামাজনের শুরু অনলাইনে বই বেচার মাধ্যমে। তখন খুব কম মানুষই অনলাইনে পণ্য কিনতেন। এরপর অ্যামাজন ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবসায় ঢোকে। পরে আসেন সিনেমা এবং বিভিন্ন সিরিয়াল সিনেমা তৈরির ব্যবসায়, যা দেখানো হয় অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও-তে। ২০১৯ সালে স্ত্রী ম্যাককেনজির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তার।  বিচ্ছেদের পর তাদের সম্পদ ভাগাভাগি হয়।

 

বিল গেটস

১১৪.৭ বিলিয়ন ডলার

মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। কিশোর বয়স থেকেই কম্পিউটার প্রোগাম নিয়ে মেতে উঠেছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বাদ দিয়ে বন্ধু পল অ্যালেনের সঙ্গে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮০ সালে তারা তৈরি করেন অপারেটিং সফটওয়্যার এমএস-ডস। তাদের অপারেটিং সিস্টেম বাজারে ব্যবহারকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে। অল্প সময়ের ব্যবধানে অপারেটিং সফটওয়্যার মাইক্রোসফট উইন্ডোজ বাজারে ছাড়েন তারা। অবিশ্বাস্য সাড়া ফেলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে জায়গা করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। ২৫ বছর মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত পালন করেন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। ২০২০ সালে কোম্পানির পরিচালনা পর্যদ থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। অনেক কোম্পানিতে রয়েছে তার বিনিয়োগ, যার একটি রিপাবলিক সার্ভিসেস।  এ ছাড়া আমেরিকায় যারা বিপুল পরিমাণ কৃষিজমির মালিক, বিল গেটস তাদের একজন। আছে দাতব্য সংস্থাও।

 

ওয়ারেন বাফেট

১১১.৬ বিলিয়ন ডলার

কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট। বলা হয়, তিনি বিনিয়োগকারীদের গুরু। যিনি ‘ওরাকল অব ওমাহা’ হিসেবে পরিচিত। তার বিনিয়োগ কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে। তাদের মালিকানায় আছে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি গেইকো, ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ডিউরাসেল এবং রেস্তোরাঁ চেইন ডেইরি কুইনের মতো কোম্পানি। এই বিনিয়োগকারী এক সময় কাজ করতেন হকারের। বিক্রি করতেন সংবাদপত্র। এমনকি মুদি দোকানেও কাজ করেছেন।  এরপর নেমে পড়েন ব্যবসায়। জীবনের প্রথম শেয়ারটি কেনেন ১১ বছর বয়সে, আর প্রথমবারের মতো কর দেন ১৩ বছর বয়সে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

 

ল্যারি এলিসন

১২৯.৭ বিলিয়ন ডলার

সফটওয়্যার কোম্পানি ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠা ল্যারি এলিসন। ১৯৭৭ সালে এটি তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এর আগে তিনি এমডাল করপোরেশনে ডাটাবেজ তৈরির কাজ করতেন। সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ১৯৭৭ সালে গড়ে তোলেন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি। পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ওরাকল। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এটি পরিচালনা করেন। বর্তমানে তিনি এটির চেয়ারম্যান এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওরাকল বেশ কিছু বড় কোম্পানি কিনে নেয়। ২০১০ সালে সান মাইক্রোসিস্টেম কিনে নেয়।  ২০১২ সালে এলিসন হাওয়াইয়ের দ্বীপ লানাই কিনে নেন। ল্যারি এলিসনের বিনিয়োগ রয়েছে টেসলাতেও।

 

স্টিভ বলমার

১০২ বিলিয়ন ডলার

এক সময় মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী ছিলেন স্টিভ বলমার। তার সহকর্মী ছিলেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে বিল গেটসের সঙ্গে একই ক্লাসে পড়তেন বালমার। এরপর দুজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিচালনা করেন মাইক্রোসফট কোম্পানি। তিনি মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন ২০০০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। এমবিএ কোর্স থেকে ঝরে পড়ার পর তিনি ১৯৮০ সালে মাইক্রোসফটের ৩০ নম্বর কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। মাইক্রোসফট থেকে অবসরের পর তিনি ২০০ কোটি ডলারের লস অ্যাঞ্জেলেস টিম কিনে নেন।  এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার বাস্কেটবল দল লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপার্সের মালিক।

 

মাইকেল ব্লুমবার্গ

৯৪.৫ বিলিয়ন ডলার

মাইকেল ব্লুমবার্গ মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ এলপির বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক তিনি, প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী। ১৯৮২ সালে তার হাত দিয়ে যাত্রা শুরু করে ব্লুমবার্গ এলপি। তারা মূলত কাস্টমাইজড কম্পিউটার বিক্রি করত, যা ওয়াল স্ট্রিট ফার্মগুলোতে রিয়েল-টাইম মার্কেট ডেটা, আর্থিক গণনা এবং অন্যান্য বিশ্লেষণ সরবরাহ করে থাকে।  এটি প্রথমে মাস্টার টার্মিনাল নামে পরিচিত ছিল। ১৯৮৬ সালে কোম্পানিটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল ব্লুমবার্গ এলপি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

 

মার্ক জাকারবার্গ

৯৩.১ বিলিয়ন ডলার

ফেসবুক এখন বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।  আর তিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনীদের একজন। তিনি এখন বিশ্বের দশম শীর্ষ ধনী। ২০০২ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। তখন থেকে মার্ক এমন একটি ওয়েবসাইট খোলার চেষ্টা করেন যেখানে সবার পার্সোনাল ফটো, ঠিকানা থাকবে এবং যে যা খুশি পোস্টও করতে পারবে। এরপর ধীরে ধীরে তার ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-চেতনায় চলে আসে ফেসবুক। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক নিয়েই ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় আর পড়াশোনা শেষ করেননি। তবুও একের পর এক নতুন ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি আনার ঘোষণা দিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তুলেছেন। মাত্র বছর কয়েক আগে ফেসবুকের মূল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন মেটা। কেবল ফেসবুক নয়, ইনস্ট্রাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে মেটার ছাদতলায় নিয়ে আসেন। এখন তিনি মেটার প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন।  ২০১৫ সালের দিকে চীনা ভিডিও শেয়ারিং সাইট টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম রিলস চালু করলে ফেসবুকের শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। মহামারিকালেও জাকারবার্গের সম্পদ বাড়ার বিষয়টি এরই মধ্যে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। তবে তিনি ধরে রাখতে পারেননি শীর্ষ ধনীর স্থান। মূলত মানুষের তথ্য নিয়ে কারসাজির অভিযোগ উঠছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এসবের জেরে হারিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা।

 

সের্গেই ব্রিন

১০০.৫ বিলিয়ন ডলার

গুগলের হিরো সের্গেই ব্রিন। ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। গুগলের জন্মলগ্নে তার সহকর্মী ছিলেন বন্ধু ল্যারি পেজ। ১৯৯৩ সালে তিনি সম্মান ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে ভর্তি হন। স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনার সময় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে ল্যারি পেজের সঙ্গে। দুজন একসঙ্গে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেন।  রুশ বংশোদ্ভূত কম্পিউটার বিজ্ঞানী সের্গেই ব্রিন বর্তমানে অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান সের্গেই। অ্যালফাবেটের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি গুগল গ্লাস নামের তথ্য বিনিময়ের এক উদ্ভাবনী পদ্ধতির প্রকল্প নেন। পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি-প্রযুক্তি নিয়েও কাজ করছেন।

 

ল্যারি পেজ

১০৫.৮ বিলিয়ন ডলার

কম্পিউটার বিজ্ঞানী ল্যারি পেজ। শৈশবেই কম্পিউটার সম্পর্কিত জ্ঞান অনেকখানি আয়ত্ত করেন তিনি। স্নাতক করেন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে কম্পিউটার বিজ্ঞানে। এ সময় তিনি সেখানকার ‘সোলার কার টিম’-এ যোগ দেন। উচ্চতর পড়াশোনার জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান পিএইচডি করতে। পরিচয় হয় কম্পিউটার বিজ্ঞানের আরেক ছাত্র সের্গেই ব্রিনের সঙ্গে।  দুজন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন গুগল। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশন। এর আওতায় রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড, সার্চ, অ্যাড (বিজ্ঞাপন), ইউটিউব, ম্যাপের মতো ব্যবসা। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

সর্বশেষ খবর