ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক সুমিত্রা সেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের সম্পদের মধ্যে ৯৬ লাখ ৭ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়া ১ কোটি ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অপরাধ করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির তৎকালীন পরিচালক আকতার হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত এক নোটিসে রেজাউল আলম ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়।
নোটিসে বলা হয়েছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রেক্ষিতে ইস্টার্ন রিফাইনারি, চট্টগ্রামের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল আলম তার নিজের, স্ত্রীর এবং তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে আদেশের সঙ্গে প্রেরিত ছকে দাখিল করার জন্য বলা হয়।
এদিকে গতকাল আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের বরখাস্ত হওয়া সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়। শিগগিরই দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এহসান আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন।
দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছিল সংস্থাটি। আর মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নাম ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ২০৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৮০৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে দুদকের তদন্তে।