সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বাড়ির পেছনে পতিত, অনাবাদি জায়গায় আমবাগানের ছায়াতলে বস্তায় আদা চাষ করেছেন কৃষক বাহারাম প্রামাণিক। ইতোমধ্যে আদা গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। বছরের শেষ ভাগে আদা সংগ্রহ করতে পারবেন-এমনটাই আশা তাঁর। বাহারাম উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের বাহারাম মোড়ের বাসিন্দা। তাঁর নামেই ওই জায়গার নামকরণ হয়েছে বাহারাম মোড়। ঔষধি গুণসম্পন্ন মসলাজাতীয় ফসল আদা চাষে স্বপ্ন বুনছেন তিনি। এ কাজে সহযোগিতা করেছেন স্ত্রী শাহিদা বেগম।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাহারাম মোড়ে বাড়ির পেছনে পতিত অনাবাদি ছায়াযুক্ত স্থানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ বস্তায় আদা চাষ করেছেন বাহারাম।
বাহারাম বলেন, প্রথমে প্রতিটি বস্তায় পলিমাটির সঙ্গে জৈব ও রাসায়নিক সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হয়। প্রতিটি বস্তায় দুই থেকে তিনটি আদার বীজ বপন করা হয়। মাঝে মাঝে পানি দিয়ে বস্তাগুলো ভিজিয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, বস্তায় দেশি-বিদেশি দুই ধরনের আদা চাষ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে আদা চাষে তুলনামূলক রোগবালাই ও খরচ কম। ছায়াযুক্ত হওয়ায় খরার কোনো প্রভাব পড়ে না। প্রতি বস্তায় খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা। এ বছর ওই বস্তাগুলো থেকে সাড়ে ৩-৪ টন আদা উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বস্তায় আদা চাষ এ এলাকায় নতুন। বাহারাম মোড়ে বাহারাম প্রথম এ এলাকায় বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন। তাঁর দেখাদেখি অনেকেই এ পদ্ধতিতে আদা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
বস্তায় আদা চাষ একটি আধুনিক পদ্ধতি। যা ফলবাগানে, পতিত জমিতে, বসতবাড়ির আনাচকানাচে, এমনকি বাড়ির ছাদে চাষ করা যায়। প্রচলিত চাষাবাদের চেয়ে এতে ফলন বেশি হয়। এ পদ্ধতিতে আদা চাষ হলে কৃষকও লাভবান হবেন।