শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) ও হাসপাতালের (শজিমেক) প্রধান ফটক বন্ধ করে দিতে র্যাম্প লাগানোর উদ্যোগ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ বগুড়াবাসী। হাসপাতালটির সামনে ১৫০ ফুট আন্ডারপাস নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু তা না করে ৭০ ফুট নির্মাণ করায় আন্ডারপাসের র্যাম্প (দেয়াল) দিয়ে প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে এ গেট দিয়ে জরুরিভাবে চলাচল করতে পারবে না কেউ। সংকুচিত হয়ে যাবে হাসপাতালে প্রবেশ ও বহির্গমন পথ। উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন এই হাসপাতালে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আগত রোগীর লোকজন, মেডিকেল কলেজের ডাক্তার, নার্স, ছাত্রছাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল ও কলেজ স্টাফসহ হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের ফটক দিয়ে ঢুকে থাকেন। এই ফটক দিয়ে রোগী, রোগীর আত্মীয়-স্বজন, নিরাপত্তা কর্মী ও সাধারণ জনগণসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করেন। এটি বন্ধ হলে এসব মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
সিলিমপুর এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামেন গেট বন্ধ করে র্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু বগুড়াসহ উত্তরের প্রায় ১৬ জেলার হতদরিদ্র লোকজনের একমাত্র চিকিৎসার স্থান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট বরাবর রোগী ও জনসাধারণের মহাসড়ক পারাপারের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অপরদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটক থেকে কলেজ গেটের দূরত্ব অনেক বেশি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অপর পাশে ওষুধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হোটেল ও প্রয়োজনীয় জিনিসসহ প্রায় ৩০০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে যার দূরত্ব ১০০ মিটার। যদি লোকজন পারাপারের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ৩০০টি দোকানের মালিক ও কর্মচারীসহ প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার লোকের জীবন-জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে।
সিলিমপুর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক জানান, জরুরি বিভাগের গেট বন্ধ করে র্যাম্প নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে করে রোগী, রোগীর আত্মীয়-স্বজন, নিরাপত্তা কর্মী ও সাধারণ জনগণসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষের আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। যদি এই গেটে আন্ডার পাস না থাকে তাহলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তাই এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ অত্যন্ত জরুরি। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ফোর লেনের প্রকল্প ম্যানেজার আহসান হাবীব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে শহরমুখী যে সড়কটি রয়েছে ওই সড়কের সঙ্গে সংযোগ রাখতে আন্ডারপাসটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ডিজাইন অনুযায়ী হাসপাতালের রোগীসহ অন্যান্য মানুষ আন্ডারপাসমুখী মেডিকেল কলেজ গেট ব্যবহার করে তাদের সেবা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।