বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নীলফামারীর আবদুর রউফ (২৭)। তার মৃত্যুতে একটি পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়েছে। আন্দোলন চলাকালে ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হন রউফ। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তিনি। পরদিন নীলফামারী সদরের দোনদরী মাঝাপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এক মাসের বেশি সময় পরও শোক কাটেনি স্বজনদের। বাবা ইউনূছ আলী পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা সুলতানা গৃহিণী। পরিবারে দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রউফ সবার বড়। তার আয়ে পরিবার ও ছোটভাইয়ের পড়ালেখা চলত। বিয়ে হয়েছে বোন রিমু আক্তারের।
ছোট ভাই সাকিব বলেন, ১৮ জুলাই দুপুরে মুঠোফোনে ভাইয়ের সঙ্গে (রউফ) আমার কথা হয়েছিল। তিনি পরিবারের সবার খোঁজখবর নিয়েছিলেন। সে সময়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাকে সতর্ক করেছিলেন। সন্ধ্যায় নিজেই হারিয়ে গেলেন আন্দোলন বিরোধীদের গুলিতে। মা সুলতানা বেগম বলেন, মারা যাওয়ার আগের দিন রাতে ছেলের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। পরিবারে অভাবের কারণে রউফ পড়ালেখা ছেড়ে ঢাকায় চাকরি নিয়েছিল। আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই অসুস্থ। ছেলে মারা যাওয়ার পর এখন পরিবার নিয়ে চলার কোনো উপায় নেই। বাবা ইউনূছ আলী বলেন, ছেলের মৃত্যুর সঙ্গে আমার সব স্বপ্ন মরে গেছে। তাকে ছাড়া এখন বাঁচব কীভাবে।